পূজামণ্ড নিয়ে কোনো হুমকি নেই

জেএম সেন হলে সিএমপি কমিশনার

সুপ্রভাত ডেস্ক »

চট্টগ্রামে পূজামণ্ডপে হামলার আসামিরা জামিনে থাকায় এবারের দুর্গোৎসবের নিরাপত্তা নিয়ে সনাতন ধর্মালম্বীরা শঙ্কা প্রকাশ করলেও কোনো হুমকির তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়।

গতকাল বৃহস্পতিবার বন্দরনগরীর জেএম সেন হলের ম-প পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা একটা কড়া মেসেজ দিতে চাই, কেউ যদি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের কোনো কার্যক্রম বা ষড়যন্ত্র করে, তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। বিন্দুমাত্র কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

‘আইনের হাত অনেক লম্বা। কেউ কেউ কোনো কাজ করে এক সময়ে হয়ত আমাদের বিভ্রান্ত করেছে বা অস্বস্তিতে ফেলেছে কিন্তু আইনের চূড়ান্ত বিচারে তারা পরাজিত হবেন।’ খবর বিডিনিউজের।

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে জেএম সেন হলে প্রতি বছর পূজার আয়োজন করা হয়। গত বছর বিজয়া দশমীর দিন মিছিল সহকারে ওই ম-পে হামলা হয়েছিল। পরে প্রায় ১০০ জনকে শনাক্ত করে গ্রেফতারও করেছিল পুলিশ। বিভিন্ন সময়ে তারা সবাই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।
এ নিয়ে মঙ্গলবার নগর পূজা কমিটি সংবাদ সম্মেলন করে তাদের আশঙ্কার কথা তুলে ধরে।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা জামিনে আছেন, তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। পুনরায় তারা এ ধরনের কাজ করছে কি না সেটা নিয়েও ফলোআপে রাখা হয়েছে।’

এ বছর চট্টগ্রাম মহানগরীতে ২৬৬টি ম-পে পূজা হচ্ছে জানিয়ে কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘প্রতিটি ম-পে পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশি নজরদারি থাকবে। পাশাপাশি স্ট্যান্ডবাই হিসেবে থাকবে সোয়াত।’

তিনি বলেন, ‘শৃঙ্খলা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে প্রতিটি ম-প এলাকায় জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে শৃঙ্খলা কমিটি করা হয়েছে। তারা পুলিশের সাথে কাজ করবে। সবার উপস্থিতিতে সার্বজনীন এ উৎসবকে সার্বজনীন নিরাপত্তায় শেষ করতে চায়।’

সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘প্রতিটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানোর সময় আমরা প্রত্যাশা করি, সবকিছু ভালো হবে। কিন্তু যেকোনো খারাপ পরিস্থিতি মোকাবেলারও প্রস্তুতি আমাদের আছে।’

সব ম-পে সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগে পূজা কমিটিকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রতিমা বিসর্জনের দিনে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতসহ নয়টি স্থানে আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গঠনের কথা জানিয়ে তিনি সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে তা শেষ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তার পাশাপাশি পূজা কমিটির নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।