পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন পরীমণি, যা সহজ নয় : নচিকেতা

সুপ্রভাত ডেস্ক »

ভালো নেই চিত্রনায়িকা পরীমণি। সর্বশেষ তেমনটাই জানিয়েছেন তার সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। যা তার ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীদেরও নজরে এসেছে। আর সেটা দুই বাংলাতেই। তাই এবার পরীকে নিয়ে কথা বললেন ওপার বাংলার অন্যতম প্রভাবশালী সংগীতশিল্পী নচিকেতা চক্রবর্তী।
তবে তার আগে ৫ সেপ্টেম্বর মধ্যরাতে নচিকেতার গান নিজের ফেসবুক পেজে শেয়ার করেছিলেন পরীমণি। ‘এতো সাহস কার’ শিরোনামের এই গানটি আবার লিখেছেন বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী গীতিকবি জুলফিকার রাসেল। মূলত এই গানটি শেয়ারের সূত্র ধরেই পরী প্রসঙ্গে কথা বলেছেন নচিকেতা। আনন্দবাজার পত্রিকাকে এই শিল্পী বললেন, ‘আমার ব্যক্তিগতভাবে পরীমণিকে ভালো লাগে। ভীষণ সাহসী। যেটা বলা উচিত সেটা সবার সামনে বলার ক্ষমতা রাখেন। তার দেশের পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। যা খুব সহজ নয়। যা করছেন বেশ করছেন তিনি।’
সম্প্রতি ঢাকা বোট ক্লাবের ঘটনায় ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করেন পরী। এরপর মাদক মামলায় নিজেই গ্রেফতার হওয়ার পর বেশ চাপে আছেন। ২৭ দিনের কারাবাসে মানসিক দিক থেকে বিধ্বস্ত এ নায়িকা। তবু তিনি লড়ছেন। তার সেই লড়াইয়ের নেপথ্য শক্তি, নানা শামসুল হক গাজীর লেখা একটি চিঠি। আবার আছে নচিকেতার গানও। যে গানের মাধ্যমে শিল্পী বলেছেন, ‘তোমার মন খারাপের কারণটা কে, এত সাহস কার?…. তাকে আকাশ থেকে এই মাটিতে নামানো দরকার।’
অন্যদিকে, পরীর এই অবস্থার জন্য একই সঙ্গে নচিকেতা দুষেছেন গণমাধ্যমকেও। নচিকেতার অভিযোগ, ‘সমাজের মতোই একচক্ষু সংবাদমাধ্যমও। কেচ্ছার গন্ধ পেয়ে নড়ে বসেছে। অভিনেত্রীর হয়ে ক’জন মুখ খুলছে?’ নচিকেতার আরও আক্ষেপ, ‘সমাজের এই ধারা সব জায়গাতেই সমান। শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের ছবিও এক। নইলে নুসরাত জাহানকে নিয়ে এত বিতর্ক তৈরি হতো না।’
নচিকেতা উদাহরণ দেন ষাটের দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মালা সিনহার। বলেন, ‘সেই সময় ওকে শুনতে হয়েছিল, ওর যাবতীয় উপার্জন নাকি পতিতাবৃত্তি করে হয়েছে। সমাজ বরাবর নিজের জোরে ওপরে উঠতে থাকা নারীদের গায়ে কালি মাখিয়ে তাদের নিচে নামিয়েছে।’
পরীমণিকে নচিকেতা খোলা বার্তায় আরও বলেন, ‘আপনাকে পূর্ণ সমর্থন জানাই। সব সময় পাশে আছি।’
এদিকে, ‘এতো সাহস কার’ গানটি প্রকাশের পর গতকাল (৬ সেপ্টেম্বর) নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত পরী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা, আমাকে কি একটু নিরাপত্তা দিতে পারেন! রাস্তায় মানুষগুলোও এত অনিরাপদ না। একবার একটু দেখেন না আমার দিকে, কী করে বেঁচে আছি।’
উল্লেখ্য, ২৭ দিন কারাভোগের পর ১ সেপ্টেম্বর জামিন পেয়ে বনানীর বাসায় ফেরেন তিনি।পরী জানান, তার জন্য এ স্থানটি আর নিরাপদ নয়। প্রায় সবাই জানেন ঠিকানা। এমনকি সারা রাত তার বাসার সামনে ক্যামেরা তাক করে রাখা হয়।