নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

জরুরি রোগী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য জরুরি রোগী ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অডিটরিয়ামে উদ্বোধন করা হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বির প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন।
জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়–য়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ আসিফ খান, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের এমওডিসি ডা. মোহাম্মদ নুরুল হায়দার, এমওসিএস ডা. মোঃ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি ও সিনিয়র মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ নওশাদ।
দুই দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের (১৩-১৪ জুন) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্দরকিল্লার জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার ১৪ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স, নার্স, ব্রাদার, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্টোরকিপার, পরিসংখ্যানবিদ, ক্যাশিয়ার, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টগণসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ও জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে চট্টগ্রামের অবস্থান দৃশ্যনীয়। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলসভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সেবার মান আরো সন্তোষজনক পর্যায়ে নিতে হলে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর জরুরি বিভাগে আগত রোগীদের সাধ্যমত চিকিৎসা সেবা দিতে হবে। আউটডোরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের পাশাপাশি ভর্তিকৃত রোগীদের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা থাকবে।
তিনি আরো বলেন, যদি কোন রোগীর অবস্থা আশংকাজনক মনে হয় তাহলে বিলম্ব না করে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করতে হবে। এ ব্যাপারে ডাক্তার-নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক হতে হবে। হাসপাতালে রোগীর শয্যা, চাঁদর, বালিশের কভার ও ফ্লোর সবসময় পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। নতুন রোগীদের ক্ষেত্রে অবশ্যই ওয়াশ করা চাঁদর, বালিশ দিতে হবে। ২/৩ দিন পরপর প্রত্যেক শয্যার চাঁদর-বালিশ পরিবর্তন করে দিতে হবে। আমরা সকলে আন্তরিক হলে স্বাস্থ্যসেবায় সরকারের ভাবমূর্তি আরো উজ্বল হবে। বিজ্ঞপ্তি