নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে ‌‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’

সুপ্রভাত বিনোদন ডেস্ক »

বিশ্ব বিনোদনের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ধরা হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের টাইমস স্কয়ারকে। সেখানকার বিখ্যাত মাল্টিপ্লেক্স হলো এএমসি এম্পায়ার। আর সেখানেই এবার মুক্তি পাচ্ছে বাংলাদেশের ছবি ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’!
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশি সিনেমার বিশ্ব পরিবেশক কানাডা-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো-এর প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব সপ্তক।
আগামী ১৯ নভেম্বর টাইমস স্কয়ারসহ যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মোট ১৪টি মাল্টিপ্লেক্সে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পাচ্ছে মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের আলোচিত ছবিটি। ২০২০ সালে লকডাউন পেরিয়ে ২৩ অক্টোবর ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল দেশের প্রেক্ষাগৃহে। তখন দর্শক-সমালোচক মহলে ভালোই প্রশংসিত হয় ছবিটি। এবার সেই ছবিটি গেলো বিশ্বভ্রমণে।
বিশ্ব পরিবেশক মোহাম্মদ অলিউল্লাহ সজীব সপ্তক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‘আমাদের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে উত্তর আমেরিকার অন্তত ১ লাখ দর্শকের কাছে পৌঁছানো। এরজন্য কমপক্ষে ১০০টি মাল্টিপ্লেক্সে আমাদের সিনেমা মুক্তি দিতে হবে। ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ দিয়ে কোভিড পরবর্তী সময়ে শুরুটা করছি আমেরিকা-কানাডার ১৪টি থিয়েটার দিয়ে। এই সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে বাড়তে ২০২২-এর কোনও সিনেমা দিয়ে শতকের মাইল ফলক ছুঁতে পারবো বলে আমরা বিশ্বাস করি।’’
তিনি আরও জানান, বাণিজ্যিকভাবে ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ই হচ্ছে প্রথম কোনও বাংলাদেশি ছবি, যা মুক্তি পাচ্ছে টাইমস স্কয়ারের এএমসি এম্পায়ার-এ।
এদিকে দূরদেশ থেকে এমন খবরে উচ্ছ্বসিত এর নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বল। তার ভাষ্যে, ‘খবরটি আমার কাছে এখনও অবিশ্বাস্য লাগছে। মনে হলো, ভুল শুনছি। যাই হোক, সত্যিই যদি টাইমস স্কয়ার হয়ে পুরো বিষয়টা এমন হয়- তবে সেটি হবে মূলত বাংলা সিনেমার জয়। এরজন্য আমি কৃতজ্ঞতা জানাই স্বপ্ন স্কেয়ারক্রো এবং অলিউল্লাহ সজীব ভাইয়ের প্রতি। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের সিনেমা এখনও সঠিক পথেই আছে।’
‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’ ঘিরে এমন সুখবার্তা এবারই প্রথম বইছে, তা কিন্তু নয়। সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে এরমধ্যে আন্তর্জাতিক জুরি পুরস্কার লাভ করেছে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব থেকে। আর সেরা নির্মাতার পদক এসেছে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ২১তম রেইনবো চলচ্চিত্র উৎসব থেকে।
গত বছর (২০২০) ২৩ অক্টোবর মুক্তি পায় ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের ‘ঊনপঞ্চাশ বাতাস’। যার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হলো ছোট পর্দার অভিনেত্রী শার্লিন ফারজানা ও ইমতিয়াজ বর্ষণের। নির্মাতা মাসুদ হাসান উজ্জ্বলেরও অভিষেক হয় একই ছবির মাধ্যমে।
রেড অক্টোবরের ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন আসিফ হানিফ, নির্বাহী প্রযোজকের দায়িত্বে আছেন সৈয়দা শাওন। পরিচালনার পাশাপাশি ছবিটির কাহিনি, সংলাপ, চিত্রনাট্য, শিল্প নির্দেশনা ও সংগীত পরিচালনা করেছেন মাসুদ হাসান উজ্জ্বল একাই।
এদিকে উজ্জ্বল জানিয়েছেন, এখন চলছে তার দ্বিতীয় সিনেমা তৈরির প্রস্তুতি। মহামারিতে লাগাম আসলেই আসছে অক্টোবরে মাঠে নামবেন নতুন সিনেমা নিয়ে।