নগরের প্রেস ক্লাবে যুবলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫

নিজস্ব প্রতিবেদক »

ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কেন্দ্রীয় যুব মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সঙ্গে সমন্বয় সভার আয়োজন করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ।

১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে উপলক্ষে আয়োজিত এ সভা শুরুর আগেই যুবলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা হয়। এতে আহত হয়েছে পাঁচজন যুবলীগ কর্মী। নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের আধিপত্যের জেরে এ সংঘর্ষ হওয়ার কথা জানিয়েছে যুবলীগ নেতারা।

গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নিরাপত্তাকর্মী রেজাউল জানান, কেন্দ্রীয় নেতা শেখ নাঈম প্রেসক্লাবের লিফটে করে সভাস্থলে যাওয়ার পরবর্তীতে কালো টি-শার্ট পরা কর্মীদের সঙ্গে অন্য কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। আগে যাওয়াকে উদ্দেশ্যে কর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হলেও স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় তারা সুপ্রভাত বাংলাদেশের প্রেস রিলিজ বক্স ভেঙে তা দিয়ে একে অপরকে মারধর করতে থাকে। এতে কয়েকজন আহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করলেও কতজন আহত হয়েছেন তা জানাতে পারেননি তিনি।

যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কালো টি-শার্ট পরিহিত যুবলীগ কর্মীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজনের অনুসারী। একই সময়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির অনুসারীরা সভাস্থলে যাওয়ার জন্য চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জড়ো হয়। কালো টি-শার্ট পরা কর্মীরা সুজনকে প্রটোকল দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় রনির অনুসারীদের সঙ্গে সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়। এরমধ্যে দু’পক্ষ দুই ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। সবমিলিয়ে এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এতে অন্য নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে আসেন।

এ নিয়ে কথা হলে ফজলে রাব্বী সুজন বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘যুবলীগ একটি বড় সংগঠন। কেন্দ্রীয় নেতারা আসায় অনেক কর্মী জড়ো হয়েছেন। প্রেস ক্লাবের নিচে লিফটের সামনে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে কর্মীদের মধ্যে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। বড় কিছু হয়নি। পরে গিয়ে সবাইকে সভাস্থলে পাঠিয়ে দিয়েছি।’

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্র্তা জাহিদুল কবীর বলেন, সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ওই সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম না। বাইরে ছিলাম। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সব ঠিকঠাক দেখেছি। এছাড়া কেউ থানায় কোনো অভিযোগও করেনি। তাই এ নিয়ে বিস্তারিত বলতে পারছি না।

সংঘর্ষের বিষয়টি স্বীকার করে যুবলীগ নেতা এম আর আজিম সুপ্রভাতকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা আসায় নেতাকর্মীদের ভিড় হয়। এতে নানা বিষয়ে মতের অমিল থাকায় সভার বাইরে দুটি পক্ষ মারামারি করেছে। সভায় থাকার কারণে মারামারির ঘটনা দেখিনি। তবে খবর নিয়ে জেনেছি ফজলে রাব্বী সুজন ও নুরুল আজিম রনির অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এটা সংগঠনের কোনো বিষয় নয়। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী নিয়ে সভা করেছি। সভা সফল ও সুন্দর হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকার যুব মহাসমাবেশে যোগ দিবো।’