দেশে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন ঘটিয়েছে বিএনপি-জামায়াত

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যার্বতন দিবসে আলোচনা

মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের এ দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের লুণ্ঠিত মূল্যবোধ ও চেতনা পুনরুদ্ধার হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ভাত ও ভোটের অধিকার। জনগণ মুক্তি পেয়েছে সামরিক স্বৈরাচারের দুঃশাসন থেকে। সর্বোপরি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা দেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করেছিল, তাদের হাত থেকে দেশ রাহু মুক্ত হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি ও জামায়াত জোট এদেশের জনগণ এবং স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের প্রতিপক্ষ অপশক্তি। এরাই দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। এরাই দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে।
গতকাল বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪১তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আন্দরকিল্লা চত্বরে অনুষ্ঠিত আনন্দ-র‌্যালি পূর্ব সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকে যে অপশক্তিটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে এবং দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে বিরামহীন ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে তাদের মূল শিখন্ডী হচ্ছে বিএনপি নামক তথাকথিত রাজনৈতিক সংগঠনটি। এ দলটি হত্যা, ক্যু, মুক্তিযোদ্ধা হত্যা এবং সামরিক উর্র্দি পরে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করার পর স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের সমন্বয় সাধন করে একটি জগাখিচুড়ি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে মাত্র। এই দলটির মধ্যে ন্যূনতম দেশপ্রেম নেই। এরা বাংলাদেশ, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীতকে বিশ্বাস করে না। এরা স্বাধীনতা বিরোধী ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, এমপি, এমনকি বিরোধী দলের নেতাও বানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী ও চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তি কার্যকর করলেও এখনো পর্যন্ত যারা স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিকে পুনর্বাসিত করেছে, তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছে তাদেরকে বিচারের মুখোমুিখ করা হয়নি বলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিরাপদ নয়।
মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য হাসান মাহমুদ শমসের, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য প্রকৌশলী বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, বখতেয়ার উদ্দীন খান ও নেছার উদ্দীন আহমদ মঞ্জু।
সমাবেশ শেষে আনন্দ র‌্যালি আন্দরকিল্লা মোড় হয়ে বক্সিরহাট, লালদিঘী, কোতোয়ালী মোড়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জিপিও, নিউ মার্কেট মোড় হয়ে দারুল ফজল মার্কেটস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। বিজ্ঞপ্তি