দক্ষ জনবল নিয়োগ ও অচল মেশিন সচল করুন

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগ

ইমেজিং এর মাধ্যমে জটিল রোগ শনাক্ত করার পদ্ধতির নাম রেডিওলোজি। সুপ্রভাতে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগে এমআরআই, সিটিস্ক্যানসহ সর্বমোট ১৭টি রোগ নির্ণয়ের মেশিন রয়েছে। সেখান থেকে ৮টি মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অচল। সেই মেশিন ঠিক করার কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি। অথচ একই বিভাগের জন্য কোটি কোটি টাকায় গড়ে উঠছে নতুন ভবন। জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এ নতুন ভবন তৈরি হচ্ছে।
রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, চমেক হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগে বর্তমানে এক্সরে ৬টি , মেমোগ্রাফি ১টি, ওপিজি ১টি, এমআরআই ২টি, সিটি স্ক্যান ২টি, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ৬টিসহ ১৭টি মেশিন রয়েছে। তার মধ্যে মেমোগ্রাফি ও ওপিজি, আল্ট্রাসোনোগ্রাফির ১টি, এমআরআইয়ের ২টি, সিটি স্ক্যানের ১টি দীর্ঘদিন ধরে অচল রয়েছে।
আটটি মেশিন দীর্ঘদিন ধরে অচল থাকায় চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাপ্রার্থী অনেকেই। ফলে অসংখ্য রোগীদের বাড়তি দাম দিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে রোগ নির্ণয়ের জন্য যেতে হচ্ছে। বিশেষ করে এমআরআই করাতে অনেক খরচ। চমেক হাসপাতালে এমআরআই করতে যেখানে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হয়; সেখানে প্রথম শ্রেণির বেসরকারি হাসপাতালে সর্বনি¤œ ৯ হাজার টাকা দিতে হয়।
এদিকে রেডিওলোজি বিভাগের সেবা প্রসারিত করতে ৯শ কোটি ২৪ লাখ ৬ হাজার টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে চমেক হাসপাতাল। হাসপাতালের পেছনে মাঠের পাশে গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের শুরুর দিকে। প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। প্রকল্পে ঋণ প্রদান করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সি (জাইকা)।
চমেক হাসপাতালের রেডিওলোজি বিভাগের প্রধান জানালেন রোগীর চাপ সামাল দেয়ার জন্য একটা বড় অবকাঠামো দরকার ছিলো। তিনি আরো জানালেন সবচেয়ে যেটি বেশি দরকার তা হলো লোকবল। বড় অবকাঠামো হচ্ছে, নতুন নতুন মেশিন আসবে অথচ দক্ষ জনবলের অভাবে সেই যন্ত্রপাতিও কোন কাজে আসবে না।
চমেক হাসপাতালে কোনো বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার নেই। ঢাকা থেকে ইঞ্জিনিয়ার আসলে মেশিন ঠিক করানোর কাজ হয়। তাই শুধু অবকাঠামো এবং মেশিন দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। জনবল বৃদ্ধি ও দক্ষ জনবল নিয়োগ দিয়ে অচল মেশিন সচলে জোর দিতে হবে।