টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাবার নিয়ে বিক্ষোভ

নতুন পুরান দ্বন্দ্ব

নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »

কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গারা খাবার (ফুড কার্ড)কে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ করেছে। রেশনকার্ড, খাবার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তাদের। গত কয়েকদিন ধরে চেপে থাকা ক্ষোভ তারা প্রতিবাদের মাধ্যমে প্রকাশ করেছে।
ক্ষোভে শুধু পুরুষেরা নয়, এবার নারীরাও অংশগ্রহণ নিতে দেখা গেছে। ১ আগস্ট সকাল থেকেই পুরাতন রোহিঙ্গারা টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া ক্যাম্পে বিক্ষোভ প্রদর্শনের চেষ্টা করে। তবে বিক্ষোভ থামাতে স্থানীয় প্রশাসনসহ এপিবিএন সদস্যরা শক্ত অবস্থান রয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের কারণ ও অভিযোগ অনুসন্ধানে জানা গেল অনেক তথ্য। স্থানীয়রা জানিয়েছে, নয়াপাড়া রেজিঃ ক্যাম্পে পুরাতন (১৯৯২ সালে আগত) ও নতুন (২০১৭ সালে আগত) রোহিঙ্গারা বসবাস করে। পুরাতন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড নতুন রোহিঙ্গাদের ফুডকার্ডের চেয়ে পরিমাণে ভিন্ন। সব রোহিঙ্গার মাঝে সমপরিমাণ খাবার বিতরণের জন্য পুরাতন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড ফেরত নিয়ে গত মাসে নতুন ফুড কার্ড ইস্যু করা হয়।
নতুন ফুড কার্ড অন্যান্য ক্যাম্পের সমসাময়িক (২০১৭ সালে) আগত নতুন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ডের অনুরূপ হওয়ায় নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গারা এখনো নতুন ফুড কার্ড গ্রহণ করেনি। এমনকি তারা গেল জুলাই মাসের রেশন উত্তোলন করে নাই। নয়াপাড়া রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গাদের দাবি, নতুন রোহিঙ্গাদের ফুড কার্ড এবং তাদের ফুড কার্ড একই রকম হওয়াতে সমান মর্যাদা দেয়া হয়েছে, যা তারা কোন ভাবেই এটা মেনে নেবে না।
অন্যদিকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন অফিস ও ইউএনএইচসিআর অফিস তাদের সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বলে অভিযোগ রোহিঙ্গাদের।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক মো. তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, ফুড কার্ডকে কেন্দ্র করে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পের পুরাতন রোহিঙ্গাদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন বিক্ষোভের চেষ্টা করলে তাদের এপিবিএন ক্যাম্পে ডেকে বোঝানো হয় এবং তারা তা মেনে নেয়।
এবং সিআইসি এবং ইউএনএইচসি আরের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পুরাতন ও নতুন রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানের জন্য সব প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
অন্যদিকে রোহিঙ্গাদের বিক্ষোভের পেছনে একটি চক্র উস্কানি দিচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ শামছু-দ্দৌজা।