জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের মৃত্যুতে প্রিমিয়ার ও ইডিইউ’র শোক

জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মে) বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির (ইডিইউ) প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান, প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদ আল নোমান, উপাচার্য অধ্যাপক মু. সিকান্দার খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সামস উদ-দোহা এবং রেজিস্ট্রার সজল কান্তি বড়ুয়া।
এক শোকবার্তায় তারা বলেন, বাংলাদেশের বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের অভিভাবক ছিলেন ড. আনিসুজ্জামান। তার এ শূন্যতা কেবল বাংলাদেশের নয়, পুরো উপমহাদেশেরই অপূরণীয় ক্ষতি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার গবেষণা এ পৃথিবীর জন্য অমূল্য সম্পদ। শুধু জ্ঞান ও শিক্ষায় নয়, ভাষা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি প্রত্যক্ষ অবদান রেখেছেন। ভূমিকা রেখেছেন স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ গঠনে। নানামুখী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তিনি জাতিকে চিরকৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করেছেন। তার অবদান কোনোদিন ভুলবার নয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান শিক্ষায় অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পুরস্কার একুশে পদক ও স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হয়েছেন। বাংলা শিক্ষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পদ্মভূষণ পেয়েছেন। এছাড়া তিনি ১৯৯৩ ও ২০১৭ সালে দু’বার আনন্দবাজার পত্রিকা কর্তৃক আনন্দ পুরস্কার, ২০০৫ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডি লিট ডিগ্রি এবং ২০১৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জগত্তারিণী পদক লাভ করেন। ২০১৮ সালের ১৯ জুন বাংলাদেশ সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেয়।
প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির শোক
এদিকে পৃথক বিবৃতিতে শোক জানিয়েছেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. অনুপম সেন। তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রফেসর আনিসুজ্জামানের সঙ্গে দীর্ঘ ষাট বছরের সম্পর্ক ছিল। প্রফেসর আনিসুজ্জামান কেবলমাত্র আমার শিক্ষকই ছিলেন না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকর্মীও ছিলেন। ১৯৬৯ সালে আমরা দু’জন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষকতায় ব্রতী হন। ১৯৭১ সালের মুক্তিসংগ্রামেও একত্রে ছিলাম। অধ্যাপক আনিসুজ্জামান যথার্থ অর্থেই একজন মুক্তচিন্তার অধিকারী মানবপ্রেমিক পণ্ডিত ছিলেন। তার মৃত্যুতে জাতি অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হলো।
আরো শোক জানিয়েছেন প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার প্রফেসর একেএম তফজল হক, রেজিস্ট্রার খুরশিদুর রহমান, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।