জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি

রুশো মাহমুদ »

এই ইতিহাস ভুলে যাবো আজ, আমি কি তেমন সন্তান? –

যখন আমার জনকের নাম শেখ মুজিবুর রহমান।

তাঁরই ইতিহাস প্রেরণায় আমি বাংলার পথ চলি

চোখে নীলাকাশ, বুকে বিশ্বাস, পায়ে উর্বর পলি।

[ আমার পরিচয়। সৈয়দ শামসুল হক ]

এক ছায়া সুনিবিড় গ্রাম। সবুজ প্রকৃতির স্নিগ্ধতা ছড়িয়ে আছে যার চারপাশ। শিরিষ-কদম-নিম-নারকেল-তাল-তমাল-হিজল-বকুলে ঘেরা মায়াময় এই গ্রামের নাম টুঙ্গিপাড়া।

১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। জন্ম নেন শেখ মুজিবুর রহমান মধুমতির কোলে এই মাটিতে। প্রকৃতির অপার এই রূপরসে বড় হয়েছেন তিনি। এই প্রকৃতিই তাঁকে দেশ ও মানুষকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। কালে কালে হয়েছেন খোকা থেকে মুজিব, মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু।

বাংলাদেশের জাতির জনক তিনি। বাঙালির বঙ্গবন্ধু। একটি জনগোষ্ঠীর ভাষা, কৃষ্টি এবং সংস্কৃতিকে সামনে রেখে ধারাবাহিক আন্দোলনের পথরেখায় জাতিকে তার অভীষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, ইতিহাসের প্রেক্ষিতে সমান্তরাল ও সমার্থক। উত্তর-ঔপনিবেশিক যুগে বাঙালির ইতিহাসে সবচেয়ে গৌরবময় পর্বটি হচ্ছে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম। গণআন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ- যার ফলশ্রুতি বাংলাদেশ নামে একটি রাষ্ট্রের জন্ম।

বাঙালি জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু। হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাসে নক্ষত্রের অক্ষরে রচিত একটি নাম, যা আপন আলোতেই ভাস্বর হয়ে থাকবে। ইতিহাসে তাঁর স্থান চির অমলিন, অমোঘ।

ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার চেষ্টা অনেক সময় হলেও বাংলাদেশের মানুষের হৃদয় থেকে তাঁকে অপসারণ করা অসম্ভব।

বাংলাদেশ, বাঙালি ও বঙ্গবন্ধু এক এবং অভিন্ন।

যতকাল রবে পদ্মা যমুনা

গৌরী মেঘনা বহমান

ততকাল রবে কীর্তি তোমার

শেখ মুজিবুর রহমান।

[ বঙ্গবন্ধু। অন্নদাশঙ্কর রায় ]