চেঙ্গী নদীর ভাঙনের গ্রাসে খাগড়াছড়ি পানছড়ি সড়ক

চেঙ্গী নদীর ভাঙনের কবলে খাগড়াছড়ি পানছড়ি সড়ক - সুপ্রভাত

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি :

প্রতি বর্ষায় ভেঙে যায় খাগড়াছড়ি চেঙ্গী নদীর পাড়ের কোন না কোন অংশ। তাই এবারও ভেঙে যাওয়ার কারণে যে কোন মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। জেলার সদর উপজেলার ৪ নম্বর পেরাছড়া ইউনিয়নের গাছবান উত্তর হেডম্যানপাড়া এলাকায় খাগড়াছড়ি-পানছড়ি প্রধান সড়কের প্রায় দুই শ (২০০) ফুট রাসত্মা যে কোন সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে চেঙ্গী নদীর গর্ভে। আর এই রাসত্মাটি মাত্র দুইশ (২০০) ফুট হলে ও দুশত  কিলোমিটারের সমান। কারণ খাগড়াছড়ি-পানছড়ির সড়ক একমাত্র যোগাযোগের রাস্তা এটি। পানছড়ি উপজেলার বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রাম দুদকছড়া লোকেরা এই সড়কে জেলার সদরে আসা যাওয়া করে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, খাগড়াছড়ি-পানছড়ি প্রধান সড়কে প্রতিদিন চলাচল করে প্রায় কয়েক শত ভারী, হালকা যানবাহনসহ শত শত টমটম। আর এটি হচ্ছে খাগড়াছড়ি সদরের উত্তরের দুটি ইউনিয়ন ও পানছড়ি উপজেলার লোকদের খাগড়াছড়ি জেলা শহরে আসা যাওয়ার একমাত্র রাসত্মা।  রাসত্মাটির প্রায় দুই শ (২০০) ফুট যে কোন সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে চেঙ্গী নদীর গর্ভে। এটি জেলা সদরের সাথে পানছড়ি উপজেলার সড়ক যোগাযোগের একমাত্র সড়ক হওয়ার কারণে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয় রাসত্মাটি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার সাথে গাছবান উত্তর হেডম্যান পাড়ার কয়েক হাজার লোকের বসবাস ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। আর গ্রামটি যদি নদীর গর্ভে বিলিন হয়ে যায় গৃহহীন হয়ে পড়বেন কয়েক হাজার লোক। এলাকাবাসী গ্রামটি রক্ষা করতে দ্রুত নদী শাসনের মাধ্যমে রাসত্মাটি রক্ষা করার পদড়্গেপ কামনা করেছেন।

খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা জানান, সড়ক বিভাগ রাসত্মাটি সাময়িকভাবে রক্ষার জন্য তারা ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে ব্লক বসিয়ে রাস্তাটি স্থায়ী ভাবে রক্ষা করার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অনুরোধ করেছে বলে জানান  খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা।

খাগড়াছড়ি পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সূত্রে জানা যায়, সড়কটি দুইশ ফুট ভা১নের কবলে থাকলে যদি ভেঙে যায় তবে দুই শ ফুটের অধিক ভেঙে যাবে। তবে রাসত্মাটি ভেঙে যাওয়ার সাথে সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাগড়াছড়ি কার্যালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত  নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া মুঠো ফোনে জানান বৃষ্টির কারলে চেঙ্গী নদীর রাসত্মার সাইড ভেঙে গিয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করে প্রাক্কলন তৈরি করেছেন যাতে ভবিষ্যতে কোন ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য দ্রুত পদড়্গেপ নেবেন।