চিনির দাম ‘নাগালে’ আনতে অভিযান

খাতুনগঞ্জে বাজার তদারকিতে জেলা প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক »

ভোগ্যপণ্যের বাজার খাতুনগঞ্জসহ সবখানেই হু হু করে বাড়ছে ভোজ্যতেল, চিনিসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যের দাম। ‘হঠাৎ’ চিনিসহ নিত্যপণ্যের বাজার ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বাজার তদারকিতে নেমেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরের খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন কাট্টলী ভূমি সার্কেলের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত।

বাজার তদারকির সময় সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে চড়া দামে চিনি বিক্রি, মূল্য তালিকা না থাকা এবং বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পায় জেলা প্রশাসন। এতে তারা ৪ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

বাজার তদারকি সম্পর্কে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, ‘বাজারে বিভিন্ন দোকানে জরিমানা করা হলেও চিনি উৎপাদনকারী মিলের বিষয়ে তথ্য হালনাগাদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চিনি নিয়ে অস্থির পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। তাছাড়া অন্যান্য নিত্যপণ্যের বিষয়েও আমরা তদারকিতে থাকছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ অভিযান পরিচালনা করায় অনেক ক্রেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। জনগণ যাতে সরকার নির্ধারিত দামে চিনি কিনতে পারে তা নিশ্চিত করতে এই অভিযান পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসন।’

জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি করলে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরএ) ১ ফেব্রুয়ারি থেকে আরেক দফা চিনির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। এরপর থেকে নগরের বাজারগুলোতে উধাও প্যাকেটজাত চিনি। একইদিন থেকেই চিনির সংকট দেখিয়ে খোলা বাজারে কেজিপ্রতি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা দামে চিনি বিক্রি করে আসছে ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে জেলা প্রশাসন গতকাল বাজার তদারকিতে নামে।

চিনির বাজার সম্পর্কে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের পাইকারি চিনি ব্যবসায়ী আর এম এস ট্রেডিং এর স্বত্বাধিকারী ইরফানুল করিম বলেন, ‘চিনি আমদানি নির্ভর হওয়ায় ঋণপত্র বা এলসি সংকটের কারণে দাম ওঠানামা করছে। বিগত বছরের তুলনায় চলতি বছর সরবরাহ কম। এ পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন ভোক্তা ও ব্যবসায়ীরা। তবে আমরা সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি করছি। আগের মজুত থাকার কারণে এখনো আমরা কেজিপ্রতি ১০২ থেকে ১০৫ টাকা দামে চিনি বিক্রি করছি।’