চসিক প্রশাসকের বিবৃতি : শুন্য কাউন্সিলর পদে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকেই নিয়োগ দেয়া হয়নি

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১ ওয়ার্ডে শুন্য কাউন্সিলর পদে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে নিয়োগ দেয়া না হলেও এ-নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অহেতুক বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার চালানোয় প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি গতকাল গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে বলেছেন, কোন ওয়ার্ডে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত পরিষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর স্থানীয় সরকার এ্যাক্ট (সিটি করপোরেশন-২০০৯) অনুযায়ী কাউন্সিলর পদটি এখন শুন্য। এই পদে থেকে মেয়াদকালীন সময়ে কাউন্সিলর যে কাজগুলো বিশেষ করে ওয়ারিশান, জাতীয়তা সনদপত্র, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদপত্র প্রদান করতেন তা প্রাপ্তিতে ওয়ার্ড সচিবদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এই কাজে তাঁদের স্থানীয় অভিজ্ঞ ও মুরুব্বীদের সহায়তা গ্রহণেরও পরামর্শও দেয়া হয়েছে।

সর্বোপরি চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলমকে ১ থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়াকে ১৫ থেকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড ও সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীকে ২৯ থেকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে ওয়ারিশ সনদ প্রদানে ক্ষেত্রে সঠিক ওয়ারিশ চিহ্নিতকরণে কয়েকজন মুরব্বী, শিক্ষক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা গ্রহণের জন্য ওয়ার্ড সচিবগণকে বলা হয়েছে। তাদের কোনভাবেই ওয়ার্ড অফিসে এসে কোন ধরণের কার্যক্রমে সংযুক্ত হতে বলা হয়নি। এ ধরণের  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে যাদের নাম উল্লেখ করা হচ্ছে   তা সম্পুর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত। যারা এসব করছেন তাদের এ ধরনের অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহবান জানিয়ে প্রশাসক বলেন, নগরবাসী যাতে এধরনের কোন গুজবে কান দেয়া থেকে বিরত থাকেন। ওয়ার্ড অফিসের কোন কার্যক্রমে সরাসরি ওয়ার্ড সচিবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। এতে জনভোগান্তি কিংবা অভিযোগ থাকলে সরাসরি আমার ফেইসবুক পেজ কিংবা দাপ্তরিক কার্যালয়ে যোগাযোগ করার পরামর্শ রইল। স্ব-প্রণোদিত হয়ে যারা এসব গুজব রটাচ্ছেন তারা যেন এ ধরণের কর্মকা- থেকে বিরত থাকেন। নইলে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে।