চসিকের সর্ববৃহৎ প্রকল্পের অনুমোদন একনেকে

২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক »
এ যাবৎকালে সর্ববৃহৎ প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক)। উন্নয়ন প্রকল্পে সরকরি তহবিলের (জিওবি) শতভাগ অর্থায়নে চসিকের ২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এ প্রকল্পে চসিককে ৫০ কোটি টাকার ম্যাচিং ফান্ড দিতে হবে না।
গতকাল মঙ্গলবার শেরে বাংলা নগরস্থ এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন। একনেকের এ সভায় চসিক মেয়র এম. রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
চসিকের ইতিহাসে এত বড় প্রকল্প আগে অনুমোদন পায়নি বলে জানিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি সুপ্রভাতকে বলেন, ‘চসিক প্রথমবারের মত এতবড় প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে নগরের নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। লাভবান হবে নগরবাসী। শুধু তাই নয় এ প্রকল্পের ফলে সিটি করপোরেশনের ম্যাচিং ফান্ডের প্রয়োজন পড়বে না। এতে চসিকের ৫০ কোটি টাকার ম্যাচিং ফান্ড সাশ্রয় হবে।’
প্রকল্পে যা থাকছে
মেয়র বলেন, ‘একনেকে চসিকের ২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এ প্রকল্পের অধীনে নগরের ৭৬৯ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করা হবে। যানজটমুক্ত নগর গড়তে এ প্রকল্পের বিকল্প নেই। বিমানবন্দর সড়কের সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা থেকে ড্রাইডক পর্যন্ত রাস্তা ৬০ ফুট চওড়া করা হবে। যা বর্তমানে আছে ৩৫ ফুট। এতে বিমানের যাত্রীদের দুর্ভোগ কমে যাবে। তাছাড়া ড্রাইডকের কার্যক্রম গতি পাবে। একটি ৬শ’ মিটারের ওভার পাস তৈরি হবে। নগরজুড়ে ২২টি কালভার্ট ও ১৪টি ব্রিজ তৈরি করা হবে। নগরবাসীর রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে ৩৮টি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। নগরের প্রধান সড়কগুলো বিপদমুক্ত ও নির্বিঘ্নে চলাচলের উপযোগী হবে। এতে সড়ক দুর্ঘটনা কমে আসবে। বিভিন্ন মোড়ে ১০টি গোলচত্বর নির্মাণ করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে চসিকের প্রকল্পটি। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে আধুনিক নগরী গড়ে উঠবে।’
একনেক সভার এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী মো. শাহাবউদ্দিন, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, এসডিজি’র মুখ্য সমন্বয়ক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কর্মকর্তারা।