চবি ছাত্রলীগ সভাপতিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

অডিও ভাইরাল

চবি প্রতিনিধি »

একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে বার বার সমালোচিত হচ্ছেন চবি ছাত্রলীগ সভাপতি। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে নিজ দলের কর্মীকে কোপানোর পেছনে নিজের হাত রয়েছে বলে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে এবার।

গতকাল রাতে ভাইরাল হওয়া ওই অডিও ক্লিপে দেখা যায় শাখা ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ও নিজ গ্রুপ সিএফসির কর্মী মোহাম্মদ রমজান হোসাইনকে কোপানোর কাজ তিনি করিয়েছেন বলে স্বীকার করছেন।

ঘটনার রেষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রুবেলকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে। এ সময় তারা স্লোগান দেন, রুবেল নিপাত যাক, চবি ছাত্রলীগ মুক্তি পাক; অবৈধ সভাপতি, মানিনা মানবোনা; নৈতিকতাহীন সভাপতি, মানিনা মানবোনা; ইত্যাদি স্লোগান দেয়। এরপর আমানত হলের রুবেলের ৩১১ নাম্বার কক্ষটি ভাঙচুর করে।

এর আগে ১ জুন হোটেলে বসাকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেখানে মারাত্মকভাবে আহত হন চবি ছাত্রলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক রমজান হোসাইন।

ভাইরাল হওয়া সেই অডিও ক্লিপটিতে সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ‘তাকে বিভিন্ন মানুষ আয়ত্তে নিয়ে নিছে। নিজের স্লাং….

(শাখা ছাত্রলীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ও সিএফসির কর্মী) রমজাইন্নারে মারতে হইছে আমরার? রমজাইন্নারে কোপ পড়ছে না? অনেক লাফাইছে না? লাফাইছে রমজান। ওই হিসেবে পড়ি গেছে। সবকিছু মুখে বলতে হবে কেন? চুপ করে থাক না। আমারে দাঁড়াইতে দে। দেখবি অনেকে অনেক হিসাবের মধ্যে হয় পায়ে এসে পড়বে নয়তো নিজের মতো নিজের হিসাব মিলাই নিবে।’

আমারে চিটাগাং ভার্সিটির সবাই ভয় পাইতো রে ভাই, ভয় পায়। তুই শুধু আমার পাশে থাক। বাকি কাজ অটো হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক খালেদ মাসুদ বলেন, যে নিজ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীকে আঘাত করতে পারে তার আদর্শ নিয়ে প্রশ্ন উঠে। অতীতেও সে এমন কাজ করেছে। চবি ছাত্রলীগের নাম ডুবিয়েছে। ছাত্রলীগকে দিয়ে নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে। আদর্শ বিবর্জিত কোনো নেতার নেতৃত্ব আমরা মানি না। তাঁকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হলো।

ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সাদাফ খান বলেন, অডিও তে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে রমজানকে কোপানোর মূল হোতা ছিলেন তিনি এবং সেটি গর্ব করে বলছেন। নিজ দলের কর্মীর নিরাপত্তা যখন এমন একজন অবৈধ নেতার কারণে ক্ষুণœ হয় তখন কিভাবে তিনি এতো বড় একটি ইউনিটকে নিরাপত্তা দিবে?

আর কতটাই বা কর্মীরা নিরাপদ। ব্যক্তিগত বিদ্বেষকে সে দলের অভ্যন্তরে চালিয়ে দিচ্ছে। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় সে সব জায়গায় নিজের ফায়দা লুটে নিচ্ছে। খুব দ্রুতই মেয়াদউত্তীর্ণ এই বিতর্কিত কমিটি বাতিলের দাবি জানাই।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। আমার বিভিন্ন কথাবার্তাকে সংযোজন বিয়োজন করে এই অডিও রেকর্ডটা বানানো হয়েছে।

মারামারির দিন ৪,৫ টা বিপদগামী ছেলে এসে আমার রুম ভাঙ্চুর করে। আমি আমার আব্বু আম্মুকে হজ্বের উদ্দেশ্য ঢাকায় রাখতে গিয়েছিলাম।