খাস্তগীর স্কুল থেকেই ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’ ছবির প্রচারণা শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক »

ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অগ্নিকন্যা চট্টগ্রামের গর্ব প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁর ভূমিকার কথা প্রায় সবারই জানা। প্রীতিলতার আত্মাহুতির প্রায় ৯০ বছর পর সিনেমা বানানো হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’। নির্মাণ করেছেন প্রদীপ ঘোষ। শিক্ষা জীবন শেষ করা প্রতিষ্ঠান ‘ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়’ থেকে সিনেমাটির প্রচারণা শুরু হয়েছে।

গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম খাস্তগীর স্কুল মাঠে প্রচারণার উদ্বোধন করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

মেয়র বলেন, আমরা চট্টগ্রাম শব্দের সঙ্গে বীর চট্টগ্রাম শব্দটি ব্যবহার করি। এই বীর চট্টগ্রাম যাদের জন্য বলা হয় তাদের একজন প্রীতিলতা ওয়েদ্দেদার। প্রীতিলতাকে নিয়ে চলচ্চিত্র হয়েছে এটি বড় আনন্দের খবর। চট্টগ্রামের মানুষ হিসেবে এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে এই চলচ্চিত্রের সার্বিক সফলতার জন্য আমি সব ধরনের সহযোগিতা করব।

তিনি আরও বলেন, প্রীতিলতাকে কেউ স্মরণ করুক আর না করুক চট্টগ্রামের পরিবেশ, প্রকৃতি সব সময় স্মরণ করছে। সূর্যসেন, প্রীতিলতা আমাদের শিখিয়েছেন আপস নয়, সংগ্রাম করে কিভাবে নিজের অধিকার আদায় করতে হয়।

পরিচালক প্রদীপ ঘোষ বলেন এটি শুধু চলচ্চিত্র নয়, এটি এক আন্দোলন। চট্টগ্রামের বীরত্বের ইতিহাসের কিছু বর্ণনা জনগণের মাঝে হাজির করছি রুপালি পর্দায়। আশা করি এই চলচ্চিত্র দেশের গ-ি ছাড়িয়ে দেশের বাইরেও দর্শক ভালোভাবে গ্রহণ করবে। প্রীতিলতার ছবি ও তাঁর স্মরণে আমরা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অর্ধেক মূল্যে টিকেটের ব্যবস্থা করেছি, যাতে এ প্রজন্ম প্রীতিলতা সম্পর্কে জানতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে রানা দাশ গুপ্ত বলেন, বাড়ির জমি আছে প্রীতিলতার, কিন্তু বাড়ি নাই। সম্পত্তির দখল অন্যদের হাতে চলে গেছে। এ বাস্তবতায় বীরকন্যা প্রীতিলতাকে নিয়ে যে চলচ্চিত্র, তা আমাদের দেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে একটি ইতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হবে। তাই শেকড়ের সন্ধান করতে হলে অবশ্যই এমন বীর নেতৃত্বকে মনে রাখতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন এইচ এম স্টিল অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মো. সামসুদ্দোহা, ডা. খাস্তগীর স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শাহেদা আক্তার প্রমুখ।

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ অর্থবছরের সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে ‘বীরকন্যা প্রীতিলতা’। অভিনয় করেছেন নুসরাত ইমরোজ তিশা, মনোজ প্রামাণিক ও কামরুজ্জামান তাপুসহ আরও অনেকে। সংগীত পরিচালনা করেছেন বাপ্পা মজুমদার।