খালে বাঁধ থাকায় জলাবদ্ধতা : মেয়র

অতিবর্ষণে পানিবন্দী হওয়া নগরীর তুলনামূলক নিচু এলাকার মানুষদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল সোমবার দুপুরে চকবাজার, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, বহদ্দারহাট এলাকা হেঁটে পরিদর্শন করেন মেয়র। এসময় তিনি জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগে থাকা প্রায় ২০০০ পরিবারের মাঝে রান্না করা খাবার পরিবেশন করেন। তিনি বলেন, জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের দীর্ঘদিনের সমস্যা। জোড়াতালি দিয়ে এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এর স্থায়ী সমাধানের জন্য মেগা প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে সরকার। পুরাতন খাল সংস্কার, নতুন খাল খনন, জলাধার সংরক্ষণ, বিলুপ্ত খাল পুনরুদ্ধার, দখলমুক্তকরণে কাজ করছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। আর এ কাজে সরাসরি নিয়োজিত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর। এ ধরনের বড় প্রকল্প দ্রুত শেষ করাও যায়না। দীর্ঘ সময় ধরে চলমান প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়িত হয় একটি বড় প্রকল্প। প্রকল্প বাস্তবায়নের স্বার্থে অর্থাৎ খালের গভীরতা ও প্রশস্ততা বাড়ানোর কাজ করতে গিয়ে অনেক জায়গায় বাঁধ দেয়া হয়েছে। বর্ষার আগেই বাঁধগুলো অপসারণের অনুরোধ জানিয়েছিলাম। কিছু জায়গায় পানি চলাচলের জন্য পথ তৈরি করে দিলেও এ ধরনের টানা বৃষ্টির পানি সরানোর জন্য এ পথ নিতান্তই সরু। তাছাড়া খালের শুকিয়ে যাওয়া মাটিগুলো অপসারণ করা হয়নি। কাদামাটি হলে পানির প্রবাহের সাথে যা নদীতে নেমে যেত, তা উল্টো পানিকে একেবারে আটকে দিয়েছে। তাই জলাবদ্ধতার প্রকোপ এত বেশি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নগরের একজন নাগরিক হিসেবে সমান ভুক্তভোগী। তবুও আশ্বস্ত করতে চাই যে, আমরা দুর্দশা লাঘবে তৎপর রয়েছি। মেগা প্রকল্পের বাইরে যে সমস্ত খাল, নালা ও নর্দমাগুলো রয়েছে তা যাতে নির্মাণ কাজের বালি কিংবা পাহাড় ধোয়া বালিমাটি ভরাট হয়ে না যায় তার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করছে করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ। বাটালী হিলস্থ অস্থায়ী নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ওয়ার্ড কাউন্সিলদের মাধ্যমে এদের কাজ তদারকি করে যাচ্ছি।
চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, মেয়র এর একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাসেম, আওয়ামী লীগ নেতা আমিনুল হক রঞ্জু, তৌহিদুল আলম, ওয়ার্ড সচিব তারেক সুলতান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি