ক্ষমা চেয়ে ফখরুল সাহেবদের পদ্মা সেতুতে ওঠা উচিত ছিল

সুপ্রভাত ডেস্ক »

বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের লজ্জা নেই বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ক্ষমা চেয়ে ফখরুল সাহেবদের পদ্মা সেতুতে ওঠা উচিত ছিল।

বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৭) অংশগ্রহণ শেষে দেশে ফিরে সোমবার সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। খবর ঢাকা পোস্টের।

ফরিদপুরের সমাবেশ শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় ফেরার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবদের লজ্জা আসলে নেই। অবশ্য পদ্মা সেতু সবার জন্য বানানো হয়েছে। লজ্জা যদি থাকতো পদ্মা সেতুতে ওঠার আগে তাদের বলা উচিত ছিল- পদ্মা সেতু নিয়ে আমরা যে অপপ্রচার করেছি তার জন্য জাতির কাছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ক্ষমা চেয়ে পদ্মা সেতুতে ওঠা প্রয়োজন ছিল। লজ্জা শরম নেই সেজন্য চুপিসারে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে এসেছে। তবে পদ্মা সেতু সবার জন্যই প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সরকার নির্মাণ করেছে।

জিয়াউর রহমানের কবর সারানো নিয়ে ‌‘মায়ের কান্না’ নামের একটি সংগঠনের করা দাবির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তথ্যমন্ত্রী জানান, আমি মনে করি মায়ের কান্নার দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি। এ দাবির প্রতি আমার সহমর্মিতা আছে।

উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ৮২ বিলিয়ন ডলার দেওয়া শুভঙ্করের ফাঁকি
বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোকে উন্নত বিশ্ব ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে বলে জানালেও সেটা আসলে শুভঙ্করের ফাঁকি বলেও এ সময় মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন থেকে আজ (গতকাল) সকালে মিশর থেকে দেশে এসেছি। জলবায়ু সম্মেলন ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের ব্যাপক অংশগ্রহণ দেখা দেছে। প্রায় ১০০ জন সরকারপ্রধানও রাষ্ট্রপ্রধানরা অংশগ্রহণ করেছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন অংশ নিয়েছেন। এটা একটা আশার দিক। তবে জলবায়ুতে অর্থায়নের বিষয়টি বরাবরের মতোই ঝুলে আছেন। অর্থায়নের ক্ষেত্রে শুধু অজুহাত খুঁজছে।

‘বিএনপির জাতীয় সম্মেলন কবে হয়েছে তাদের নেতারাই ভুলে গেছে’
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী টালমাটাল অবস্থা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ প্রেক্ষিতে অর্থায়নের বিষয়ে যে তাদের সীমাবদ্ধতা সেটি তারা নানাভাবে বলার চেষ্টা করেছে। উন্নত দেশগুলো বলেছে, গতবছর ৮২ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে। এটির মধ্যে বিরাট শুভঙ্করের ফাঁকি রয়েছে। ৮২ বিলিয়ন ডলার কোথায় কিভাবে দিলো? কারণ বিশ্ব জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়ে স্পষ্ট প্যারিস এগ্রিমেন্টে লেখা আছে এডিশন টু প্রেজেন্ট ওরিএ। তবে এ অর্থ পর্যাপ্ত নয়, আরো অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন। তারা প্রেজেন্ট ওরিএ এর যে অর্থ আছে সেগুলোকে দেখিয়ে একটি হিসাব দাঁড় করিয়েছে যে ৮২ বিলিয়ন ডলার গত বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দিয়েছে। যেটার সঙ্গে আমরা একমত নই। এই বিষয়গুলো সম্মেলনে আলোচিত হচ্ছে।