ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দিশেহারা আওয়ামী লীগ

বিএনপির সমাবেশে শামীম

বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বর্তমানে দেশের মানুষ সরকারের দুঃশাসনে বসবাস করছে। মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝরাতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে তারা। জনগণের প্রতিবাদ বিক্ষোভে দিশেহারা হয়ে মানুষ হত্যার মতো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার পুরো দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ এখন দিশেহারা। তাই তারা মরণ কামড় দিচ্ছে।

তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকালে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ের মাঠে বিএনপির এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নডন মিয়াকে হত্যার প্রতিবাদে মহানগর বিএনপি কেন্দ্রঘোষিত এ সমাবেশের আয়োজন করে।

মাহবুবের রহমান শামীম আরও বলেন, বিনা ভোটে ক্ষমতায় থেকে আওয়ামী সরকার এখন বেপরোয়া। কিন্তু এদেশের সাহসী জনতা অতীতেও যেমন সকল স্বৈরাচারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে, বর্তমান সরকারকেও গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জনগণের আন্দোলনের গণজোয়ারে অবৈধ সরকারের মসনদ তলিয়ে যাবে।

এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর।

এ এম নাজিম উদ্দীন বলেন, আওয়ামী সরকার প্রতিবাদী মানুষের কণ্ঠরোধ করতে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে এবং ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে তারা। এই পুলিশ ও মাস্তানরাই বিএনপির মিছিলে হামলা করছে। বিনা উস্কানিতে নেতাকর্মীদের গুলি করছে। সারাদেশে আহত ও গ্রেফতার করা হয়েছে অনেক নেতাকর্মীকে।
মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশে এখন বর্তমান সরকারের হিং¯্রতা শুরু হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির লিফলেট বিতরণকালে হামলার ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো- আওয়ামী রাজত্ব কত ভয়ংকর। বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের এই হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। পুলিশ বাহিনীর পৈশাচিক এই হামলায় ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহত হন।

মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় সমাবেশে ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, মো. শাহ আলম, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাহবুব আলম, নিয়াজ মো. খান, এস এম আবুল ফয়েজ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, আবুল হাশেম, আনোয়ার হোসেন লিপু প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি