কোভিড প্রতিরোধে কাজ দেখাচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ‘অ্যান্টিবডি থেরাপি’

সুপ্রভাত ডেস্ক »

নতুন একটি ‘অ্যান্টিবডি থেরাপি’র পরীক্ষামূলক প্রয়োগে কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঝুঁকি ৭৭ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনা গেছে বলে জানিয়েছে অ্যাংলো সুইডিশ ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

শুক্রবার রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার পরও যাদের শরীরে যথেষ্টা প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে না, তাদের সুরক্ষার একটি উপায় হতে পারে এই থেরাপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এলি লিলি ও গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন এর আগে একটি অ্যান্টিবডি থেরাপি নিয়ে গবেষণা চালালেও অ্যাস্ট্রাজেনেকাই প্রথম পরীক্ষামূলক প্রয়োগে ইতিবাচক ফল পাওয়ার কথা জানালো।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, পরীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের ৭৫ শতাংশের মধ্যে দুই ধরনের অ্যান্টিবডির সন্ধান পেয়েছে ভেন্ডারবিট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার।

এ গবেষণায় যাদের থেরাপি দেওয়া হয়েছে, তাদের সবাই বিভিন্ন অসংক্রামক কিন্তু দুরারোগ্য বিভিন্ন ব্যাধিতে ভুগছিলেন, যে অবস্থাকে কোমরবিডিটি বলে। কারও কারাও শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা এতটাই দুর্বল ছিল যে টিকায় সাড়া দেওয়ার মত অবস্থা ছিল না।

অ্যাস্ট্রাজেনেকার নির্বাহী মেনে প্যাঙ্গালোস জানান, শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে অ্যান্টিবডি দেওয়ার তিন মাস পর থেরাপির ফল পাওয়া গেছে, সেটাই এখন প্রকাশ করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ১৫ মাস পর্যন্ত এটা পর্যবেক্ষণ করবেন।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা আশা করছে, কোভিড থেকে অন্তত এক বছরের সুরক্ষা হিসেবে এ ইনজেকশন তারা বাজারে ছাড়তে পারবে।

যাদের কোনো অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে কিংবা ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচ্ছেন- রোগ প্রতিরোধ কম থাকা এ ধরনের ২ শতাংশ মানুষেরাই হবেন নতুন এই অ্যান্টিবডি থেরাপির ‘টার্গেট গ্রুপ’।

পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১২ থেকে ১৩ শতাংশ স্বেচ্ছাসেবী করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছিলেন জানিয়ে প্যাঙ্গালোস বলেন, এর মাধ্যমে আগের টিকার অবস্থানকেও টপকে যাওয়ার চেষ্টা করবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

তিনি ইঙ্গিত দেন, কোভিড-১৯ প্রতিরোধে এই নতুন ওষুধ বাজারে ছাড়া গেলে, তাতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড টিকা ভ্যাক্সজেভরিয়ার গুরুত্বও কৌশলগতভাবে বাড়বে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথভাবে এই টিকাটি উদ্ভাবন করেছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

এবছর শেষ হওয়ার আগেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাজারে অ্যান্টিবডি থেরাপি চালু করার জন্য অনুমোদন পাওয়ার চেষ্টা করবে অ্যাস্ট্রাজেনেকা। ততদিনে ১০ থেকে ২০ লাখের মতো ডোজ তৈরি করা যাবে বলে প্যাঙ্গালোস আশা করছেন।

সূত্র : বিডিনিউজ