কাস্টমস কর্মকর্তার ৮ বছরের কারাদণ্ড

অবৈধ সম্পদ অর্জন

নিজস্ব প্রতিবেদক »
অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক প্রিন্সিপাল অ্যাপ্রেইজার (আমদানি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আব্দুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন। পলাতক আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদুক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু। কারাদণ্ড ও জরিমানার পাশাপাশি মামলাভুক্ত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে ৭৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৪২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা দায়ের করেন দুদক। মামলার রায়ে কাস্টমসের এই সাবেক কর্মকর্তাকে আট বছর কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা অর্থদণ্ড দেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।’
সাজাপ্রাপ্ত আসামি কাস্টমস কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বকুপাড়া এলাকার মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি নগরীর দক্ষিণ খুলশীর জাকির হোসেন রোডস্থ ৪ নম্বর সড়কের আবুল মালেক স্মরণীতে বসবাস করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবৈধভাবে ৭৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৪২ টাকা আত্মসাৎ করার দায়ে ২০১০ সালের ৭ অক্টোবর দুদক আইনের ২৭ (১) ধারায় নগরীর ডবলমুরিং থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় দুদক প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন বাদি ছিলেন।
মামলা তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৬ আগস্ট কাস্টমস কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. লুৎফুল কবির চন্দন। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, হুমায়ুন কবির অবৈধভাবে ৭৩ লাখ ৭২ হাজার ৮৪২ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যেটি দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।