করোনা চিকিৎসা দেবে বিজিএমইএ হাসপাতাল

থাকছে ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার #
নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৫ ডাক্তারসহ ২৩ জন স্বাস্থ্যকর্মী#
থাকবে হাইফ্লো নজল কেনোলার মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও#

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিজিএমইএ হাসপাতাল রূপান্তর হচ্ছে করোনা আইসোলেশন সেন্টার ও ফিল্ড হাসপাতাল হিসেবে। সল্পগোলা সিম্যানস হোস্টেল এলাকার হাসপাতালটি ৫০ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার করতে ইতিমধ্যে চিকিৎসক, নার্সসহ পর্যাপ্ত জনবলও নিয়োগ দেয়া হয়েছে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে। এছাড়া এখানে করোনার টেস্টের জন্য বুথ ও ল্যাব স্থাপনের উদ্যোগও নিচ্ছে সংগঠনটি।
বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি আবদুস সালাম জানান, ‘এখানে পোশাক শ্রমিকদের পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনও চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে আমাদের আগের হাসপাতালটিকে আমরা করোনার চিকিৎসার জন্য রূপান্তর করেছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে আমাদের জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আইসোলেশন সেন্টারটিতে নতুন করে ৫ জন ডাক্তার, ০৭ জন নার্স, ২ ল্যাব টেকনিশয়ানসহ মোট ২৩ জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনতলার ১৬ হাজার বর্গফুট আয়তনের এই হাসপাতালটিতে হাইফ্লো নজল কেনোলার মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ফিল্ড হাসপাতালের আদলে এখানে চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। পোশাক শ্রমিকদের পাশাপাশি সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষরা এখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে।
জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর, সিইপিজেড, কাটগড় ও হালিশহর এলাকায় অনেক পোশাক শ্রমিক রয়েছে। এসব পোশাক শ্রমিকদের সেবা দিতেই এই আয়োজন নেয়া হয়েছে।
দেশব্যাপি করোনা মহামারির কারণে প্রথম দিকে দেশের গার্মেন্টস কারখানাগুলো বন্ধ ছিল। পরবর্তীতে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কারখানা খুলে দেয়া হয়। কিন্তু এতে অনেক শ্রমিক আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত শ্রমিকদের চিকিৎসা সেবা দিতেই বিজিএমইএর পক্ষ থেকে এই আয়োজন করা হয়।
বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে আইসোলেশন সেন্টার চালু প্রসেঙ্গ বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ কর্তৃপক্ষ (বেপজা) চট্টগ্রামের মহাব্যবস্থাপক খুরশিদ আলম বলেন, বিজিএমই এগিয়ে আসা অবশ্যই একটি ভালো উদ্যোগ। আমাদের ইপিজেডের ভেতরের অনেক কারনখানাও তাদের সদস্য। তাই এতে আমাদের এখানকার শ্রমিকরা উপকৃত হবে। একইসাথে আমরাও একটি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনের অনুমোদন পেয়েছি এবং শিগগিরই হয়তো তা দেখা যাবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সামাজিক ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকে এধরনের আইসোলেশন সেন্টার স্থাপনে এগিয়ে আসছে। এভাবেই করোনাকে মোকাবেলা করতে হবে।
উল্লেখ্য, পতেঙ্গা অঞ্চলে পতেঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি আইসোলেশন সেন্টার ইতিমধ্যে চালু করা হয়েছে। এছাড়া পতেঙ্গা বাটারফ্লাইপার্ক এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশ ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন যৌথ উদ্যোগে ১০০ শয্যার একটি ফিল্ড হাসপাতাল চালু করছে। এতে পতেঙ্গা ও বন্দর এলাকার মানুষ ভালো সেবা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।