উপবৃত্তি প্রাথমিকে ঝরে পড়া রোধ করবে : মেয়র

‘করোনাকালীন প্রাথমিক পর্যায়ে ঝরে পড়া রোধ করতে বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোর উচিত প্রকল্প গ্রহণ করে গরীব শিক্ষার্থীদের সহায়তা করা। এই সহায়তা যত সামান্যই হোক, বিভিন্ন সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বেঁচে থাকার প্রণোদনা পাবে। আর এই ধরনের কার্যক্রমে সরকারও তাদের পাশে থাকবে।’
গতকাল বুধবার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এলআইইউপিসি প্রকল্পের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ২০১৯-২০ সালের ১ হাজার ২ শত ৩৩ জন শিক্ষানবীস উপকারভোগীদের মাঝে মোট ৩৬ লাখ ৬ হাজার টাকা ও শিক্ষা উপবৃত্তি অনুদান হিসেবে ১০০ শিক্ষার্থীকে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা তাদের রকেট একাউন্টের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ কথা বলেন।
নগরীর টাইগার পাসস্থ চসিক কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের টাউন ম্যানেজার মো. সরোয়ার হোসেন খান, মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, সোসিও ইকোনমিক ও নিউট্রিশন এক্সপার্ট মো. হানিফ, টাউন ফেডারেশন চেয়ারম্যান কোহিনূর আক্তারসহ এলআইইউপিসি প্রকল্পের কর্মকর্তাগণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র আরও বলেন, শিক্ষা সহায়তায় যে উপবৃত্তি ও অনুদান দেয়া হল তা যথাযথভাবে ব্যয় হবে এটাই প্রত্যাশা। কোনভাবেই উপবৃত্তি ও অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ না করে। এই ধরনের সহায়তামূলক কর্মকাণ্ডকে সরকারি ও করপোরেশনের পক্ষ থেকে উৎসাহ দিতে যত ধরনের সহায়তা লাগে তা করা হবে।
পরে মেয়র ১৩ শত ৩৩ জন উপকারভোগীদেরকে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের রকেট অ্যাপের সহযোগিতায় মোট ৪০ লাখ ৫৬ হাজার টাকা তাৎক্ষণিক পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। বিজ্ঞপ্তি