আলফু মিয়ার যুদ্ধজয়

গাজী তারেক আজিজ »

একটি সংবাদ শোনার অধীর অপেক্ষায় আছে গ্রামবাসী। সকলের মধ্যে একধরনের চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। ছেলেবুড়ো সবারই উৎসুক চোখ স্থির হয়ে আছে। কান অত্যন্ত সজাগ। যাকে বলে কানখাড়া করে রাখা। সবার মনোযোগ এক জায়গায়। কেউ নড়াচড়া পর্যন্ত করে না। না জানি কিছু কম জানা হয়ে যায়। কেউই কাউকে ছাড় দিতে চায় না। একটা বাঁশবেতের মোড়ার ওপর রেডিও রেখে বিবিসি বাংলার খবরে মনোযোগ দেয়। কারো মুখে কোনো কথা নেই। সবাই বড়সড় বৃত্তের আদলে গোল হয়ে বসে। পুরুষদের কেউ-কেউ মাঝেমধ্যে দূরে গিয়ে হুক্কায় টান দিয়ে শরীর ভাপায়। মহিলারা ছোট-ছোট ছেলেমেয়েদেও শীতের কাপড় মুড়িয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখে। কিশোর-কিশোরীদের ভিতর এক অজানা শংকা বিরাজ করে। এখনো খবর শুরুর অপেক্ষা। এই অপেক্ষা আর টানটান উত্তেজনা যেন বেড়েই চলেছে। আধো-আলো আধো-ছায়ার খেলা। নির্বিকার মেঘেরা উড়ে চলে। এক স্থান থেকে অন্যস্থানে। মেঘেদের কোনো যুদ্ধের ভয় নেই।
সময় ঠিক রাত দশটা রেডিওতে বাদ্যের তালে-তালে কাউন্টডাউন শুরু হয়। মানুষের অপেক্ষা যেন আরো বাড়িয়ে তোলে। রেডিওতে ফ্রিকোয়েন্সি ঠিকঠাক মতো কাজ করছে না। শব্দ ভেঙে-ভেঙে আসছে। একশব্দ বোঝা গেলে অন্য শব্দ বুঝতে পারা যায় না। এই ভাঙা-ভাঙা শব্দের সংযোগ ঘটিয়ে এমন একটা সংবাদের অপেক্ষায় থাকা যেন বহুল প্রত্যাশিত। এই শব্দ নির্বিঘ্ন না হওয়ার পিছনে একটাই কারণ থাকেÑ ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাওয়া। তারপরও সবাই কোনো রকমভাবে শুনতে চেষ্টা করে। খুব নীরবতা। সুনসান নীরবতা। এখন সকলে শুধু নিঃশ্বাসের শব্দ আর বুক ধড়ফড়ের শব্দই শুনতে পাচ্ছে। সকলের মাঝে চাপা ক্ষোভ আরো বেড়ে যায়, ব্যাটারির চার্জ শেষ হওয়ার বুঝি আর সময় পেল না! গ্রামের মানুষের সাদামাটা জীবন। পুরো কয়েক বাড়ি মিলিয়ে একটাই রেডিও। সারাদেশের খবর শুনতে ওই একটা রেডিওই ভরসা। বিবিসির খবর ততক্ষণে নিশ্চয়ই শেষ হয়ে গেছে। ছেলেমেয়ে আর মহিলারা ঘরে ঢুকে গেছে। পুরুষেরা অধীর অপেক্ষার নীরবতা বিসর্জন দিয়ে আলাপচারিতায় মেতে ওঠে। কি হয়! কি হয়! একজন একটি কথার সূত্র ধরে তো অন্যজন কেড়ে নিয়ে নিজেই কিছু একটা বলতে চায়। অন্যজন সেই কথায় পানি ঢেলে দেয়ার মত করে বলে ওঠেÑ বুঝছি শেষমেশ আন্ডা নিজের অধিকার আদায় কইরবেল্লাই যুদ্ধ করোন লাইগবো!
আরেকজন বলে ওঠে- যুদ্ধ! অনেকটা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে অন্য একজন বলে, আমরা ছাড়ি দিতান্ন! আইয়োক আন্ডা অনামি যামু। জোয়ান বুয়াবে একে যুদ্ধে যামু। না কি কঅন কাক্কা?
-হ্যাঁরে বাচি থাইকতে অইলে ত যুদ্ধ কইত্তে অইবো! আইচ্চা বেএকে য অগোই। অন যাই ঘুমো অগোই। বেয়ানে উডি চিন্তা করমু। একজন মাথা নেড়ে হ্যাঁ-সূচক জবাব দেয়। অন্য একজন কটাক্ষ করার মতো কওে বলে
-হুঁ, হেতে যাইবো যুদ্ধে, আন্নেঅ হুইনছেন! আঁই অবিশ্বাস কইচ্ছি!
যাকে নিয়ে কটাক্ষ সে বলে ওঠেÑ
-দেয়া যাইবো কঅন যুদ্ধে যায়! কঅন হলাই থায়! যে কটাক্ষ কওে সে বলেÑ
-দেইকছি ত! কঅনকেইচ্চা! যঅ যঅ বেয়ানে দেএয়া যাইবো!
ফজল বলে ওঠেÑ
আইচ্ছা কাক্কা বেয়ানে ভোরে উডি হোলামাইয়াবেডি বেকগুনেরে হেএ হায় হাডাই দিলে কেইচ্ছা অয়!
গফর কাকা বলে ওঠেনÑ
-আইচ্ছা দেএয়া যঅকনা। অন বেকে যঅ।
বলে গফর কাকা নিজের ঘরে চলে যান। সবার চোখেমুখে খুব উদ্বেগ-উৎকন্ঠা!
দুই
গফর কাকা মাতবর শ্রেণির লোক। গ্রামের সালিশ-দরবারে যার সরব উপস্থিতি। জনপ্রতিনিধি না হয়েও জনগণের কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের একজন। নির্বাচনে সবাই তাকে মেম্বার পদে ভোট করার জন্য অনুরোধ করলেও কোন আগ্রহ দেখান না। গফর কাকা শৌখিন প্রকৃতির লোক। খুব বেশি লেখাপড়ার বহর না থাকলেও জ্ঞানে-গরিমায় কম যান না। কোন রকম দশ ক্লাস পর্যন্ত পড়লেও পিতার অকাল মৃত্যুতে বিদ্যাশিক্ষা ওই পর্যন্তই। গ্রামে তার সমান লেখাপড়া করা কেউ না থাকায় সকল বুদ্ধি-পরামর্শের জন্য সবাই তার কাছে ধরনা দেয়। ছেলেমেয়ের বিয়েশাদী। লাশের জানাজার আয়োজন। কে অসুস্থ। সবকিছুই যেন তার কাছে খবর পৌঁছে যায়। আসলে সবাই গফর কাকার কাছে নিজের মনের কথা না বললে যেন পেটের ভাত হজম হতে চায় না।
গ্রামে গফর কাকার কথাই যেন আইন। অলিখিত আইন। তিনি যেটা না বলেন সেটা না। আর যেটা হ্যাঁ বলেন সেটা অবধারিত হ্যাঁ। এতে করে একক আধিপত্য বজায় রেখে চললেও কারো কোন অনিষ্ট যেন তার হাতে না হয় সেদিকেও নজর আছে তার। এই যে আইনকানুন তার কথায় চলে সেটারও ভূরিভূরি প্রমাণ আছে। একবার গ্রামে পুলিশ হানা দিলে গফর কাকার কাছে খবর পৌঁছে যায় মুহূর্তে। তিনিও ধেই ধেই করে হাজির। তার পিছে পিছে জনা বিশ ত্রিশ লোকের উপস্থিতি দেখে পুলিশ ধন্ধে পড়ে যায়। বুঝতে পারে গ্রামের মোড়ল কেউ হতে পারে। পুলিশ একটা কৌশল নেয়। গফর কাকাকে মানসিক চাপে রেখে তাদের কাজ সেওে নেবে। কিন্তু গ্রামের সবার মুখে তালা। তাদের পক্ষে কথা বলার একমাত্র লোক ওই গফর কাকা পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য যথেষ্ট। গফর কাকা ইংরেজি বাংলা মিশিয়ে একনাগাড়ে গ্রাম সম্পর্কে ধারণা দেয়। পুলিশ কোন কিছুতেই মানতে চায় না। তখন গফর কাকা ডানে-বামে করে পিছনে তাকানোয় মানুষ বুঝে যায় পরিস্থিতি সুবিধার নয়। তারা গফর কাকা মুখ বিষণ্ন দেখে চিন্তায় পড়ে যায়। ততক্ষণে দুই তিন শ লোক জড়ো হয়ে গেছে। পুলিশ সবে তিনজন। গফর কাকার সাথে তার ঘনিষ্ঠ সহচর আলফু মিয়ার চোখাচোখি হতেই যেন হাজার পৃষ্ঠা কথা হয়ে যায়। আলফু মিয়া ডানে-বামে তথ্য দিয়ে করণীয় বাতলে দেয়। আর তাতেই কেল্লা ফতে!
সকল উপস্থিত গ্রামবাসী কাকার দিকে তাকিয়ে জোরে মুষ্টি কষে হাত উঁচিয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে। এই অবস্থা দেখে পুলিশ হতচকিত হয়ে গফর কাকার দিকে তাকিয়ে বলে ওদের শান্ত হতে বলেন। আপনার সাথে কথা আছে। সামনে চলেন। গফর কাকা পা বাড়াতেই লোকজন বলাবলি শুরু করে ব্যাপারটা কি?
-মনে অয় খারাপ কিছু আছে।
-আরে রাখ তোর খারাপ কিছু!
-আন্ডা কাক্কার কিছু অইলে পুলিশ হেগুনেরে যাইবেল্লাই দিমু নি!
-আগে দেয়েচ্ছা কি আবস্থা।
গফর কাকা বিষণ্ন মুখে ম্লান হাসি দিয়ে গ্রামবাসীকে বলেÑ
Ñতোন্ডা যেতে যার যার কামে যঅ। আঁর এক্কেনা থানাত যঅন লাইগতেছে।
আলফু মিয়া বলে ওঠেÑ
-কাক্কা কোন খারাপ খবর আছেনি?
-আরে না রে!
আলফু মিয়া ও গ্রামের লোক সকলে বুঝে যায় তাদের গফর কাকা কোন কিছু লুকাতে চাইছে। সবাই নাছোড়বান্দা। কাকার কথায় কেউ বিশ্বাস রাখতে চাইছে না। আসলেই কাকা কিছু লুকাচ্ছে না তো! গ্রামের মানুষ সকলে কাকাকে ভালো করেই চিনে জানে। এতদিন এমন কোন দুশ্চিন্তায় তাকে দেখেনি। আজ এমনকি হলো! কাকা যেন মুখ থেকে চিন্তা সরাতে পারছেন না।
তিন
সবার পক্ষ থেকে আলফু মিয়া গফর কাকার সঙ্গী হয়। তারা দুজন অনেকক্ষণ অবধি হেঁটে পুলিশের সাথে নৌকা ঘাটে যায়। তারপর আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা কলের নৌকায় ওঠে। নৌকা ছাড়ার ত্রিশ মিনিট পর আরেক ঘাটে ভিড়ে। নেমে পায়ে হেঁটে আরো বিশ মিনিট পর থানায় পৌঁছে। সাথে থাকা পুলিশ সদস্যরা থানার ওসি সাহেবের রুমে নিয়ে যায়। ওসি রুমে নাই। গফর কাকা ও আলফু মিয়ার মুখ শুকিয়ে যায়। উপস্থিত এক পুলিশ কনস্টেবলের কাছে পানি খেতে চাইলে মাটির একটা মগে পানি দেয়া হয়। প্রায় তিন ঘন্টা হতে চললো ওসি সাহেব আসার নামগন্ধ পর্যন্ত নাই। গফর কাকা যতটা না অস্থির আলফু মিয়া আরো অস্থির হয়ে পড়ে।
-কিরে ভাই আমরারে ইয়েনে কিল্লাই বইয়াই রাইখছেন?
-বইয়েন বইয়েন! এত অস্থির অইয়েন না। স্যার আইলে আরো খাতির যত্ন হাইবেন।
-হিয়েন বুইঝলাম! তোই কঁত্তে আইবো আমনের স্যার?
ততক্ষণে ওসি সাহেব রুমে ঢুঁ দিয়ে পাশের রুমে চলে যায়। গিয়ে যেই তিনজন পুলিশকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল গফর কাকাকে আনতে তাদের কাছে জানতে চায়
-বল কি খবর?
-স্যার গফর মিয়া অত্যন্ত ভালো মানুষ। তবে…
-তবে কি?
-তারে দিয়া মনে হয় এই কাজ হবে না!
-কেন হবে না?
-মনে হচ্ছে নীতিবান লোক
-নীতিবান হলে তো আরো ভালো। আমাদের কাজ ষোলআনা হবে। শুধু বাগে আনার অপেক্ষাÑ বিড়বিড় করে বলে। যাও ডেকে নিয়ে আসো।
-স্যার সাথের জনকেও আনবো?
-না, শুধু গফর মিয়াকে।
গফর মিয়া ওসি সাহেবের চোখে চোখ পড়তেই ওসি সাহেব সালাম দিয়ে বলে ওঠেনÑ
-কেমন আছেন গফর সাহেব?
-জি স্যার, ভালো।
-আরে গফর সাহেব, স্যার কেন বলছেন। আমরা আছি আপনাদের সেবায়। আমাকে ভাই বলেন। আর বয়সে আমি আপনার ছোটই হবো।
-তা বুঝলাম। কিন্তু আমাকে কেন ডেকে এনেছেন?
-আপনার সাথে কথা আছে। আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে আপনাদের। আগে চলেন খাওয়া-দাওয়া করি।
-না আমরা বাড়িয়ে গিয়ে খাব। সবাই অপেক্ষায় আছে। চিন্তা করতে পারে।
-আরে ভয়ের কিছু নাই। আমি আপনার ভাইয়ের মতোই তো নাকি? বলে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে।
-জানেন তো দেশে গন্ডগোল লাগছে?
-খবর আপনি আমাদের থেকে বেশি জানেন, স্যার!
-আমরা তো দেশের মানুষের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছি। জানমালের হেফাজত করি।
-জানবো না কেন স্যার।
-আরে গফর সাহেব, আপনাকে একটু ভিন্নভাবে জানতে হবে। আমি জানাতেই এখানে এনেছি। ভাবলাম, ভাই ভাই পরিচিত হবো, কথাও বলবো।
-তা বুঝছি
-বলেন তো কি বুঝছেন?
-দেশে যুদ্ধ লেগে গেছে।
-উঁম উঁম অঁ অঁ না …। যুদ্ধ নয়, যুদ্ধ নয়। রাষ্ট্রবিরোধী কাজ। ওসব করতে দেয়া যাবে না। কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করে।
-আমাদের কি করার আছে? অস্ত্র নাই গোলাবারুদ নাই!
ক্ষেপে গিয়ে ওসি সাহেব বলে ওঠেন
-রাখেন আপনার অস্ত্র গোলাবারুদ! আপনি কি দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেন?
-না স্যার, আমি দেশের হয়ে যুদ্ধ করবো।
-এই তো লাইনে আসছেন! আমি সে কথাই বলতে ডাকছি আপনাকে। আপনি দেশের হয়ে যুদ্ধ করবেন। তবে অস্ত্র দিয়ে নয়। তথ্য দিয়ে। দেশের হয়ে যুদ্ধ করবে সেনাবাহিনী। আপনি তাদের তথ্য সরবরাহ করবেন। আমরা আপনার নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী করে দেব।
-কি বলেন স্যার! আমরা নারী ও শিশুদের নিয়ে এমনিতেই আতঙ্কিত!
-আরে গফর সাহেব, যখন আপনি রাজাকার বাহিনীর নেতৃত্ব দিবেন, আপনার অনুগত সবাই নিরাপদ থাকবে।
এই কথা বলে ওসি সাহেব একটা গাদা বন্দুক আর কিছু কার্তুজ দিয়ে গফর মিয়াকে যেতে বললেন। গফর মিয়া কিছু না বলে আলফু মিয়াকে নিয়ে গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। আলফু মিয়া কিছু না শুনলেও বুঝতে বাকি থাকে না। গফর কাকা রাজাকার বাহিনীতে যোগ দিয়েছেন। মনে মনে ক্ষোভ ঝাড়ে। কিছু বলে না। ঘাটে এসে নৌকায় চেপে বসে। তখনো আলফু মিয়া কিছু বলে না। ভিতরে ক্ষোভে ফুঁসতে থাকে। ইঞ্জিনচালিত নৌকা তাদের গ্রামের ঘাটে ভিড়ে। দুজনই নামে। আবার হাঁটা ধরে।
গফর মিয়া দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সহচর আলফু মিয়ার হাতে বন্দুক দিয়ে প্রাকৃতিক কর্ম সারতে যায়। আলফু মিয়া কালবিলম্ব না করে বন্দুকে কার্তুজ লোড করে সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। গফর মিয়া কাছে আসতেই বন্দুকের ট্রিগারে চাপ দেয়। মুহূর্তে গফর মিয়া মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সন্ধ্যা ছুঁই ছুঁই নীড়ে ফেরা পাখিদের দল ডানা ঝাপটে ওঠে। দিগবিদিক ছোটাছুটি করে। আলফু মিয়া টেনে গফর মিয়ার লাশ পাশের ড্রেনে ফেলে দেয়। গ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। তার যেন ভারমুক্ত হয়। মন হালকা হয়। একধরনের ভয় কাজ করে গ্রামের লোকজন গফর কাকাকে যেভাবে পছন্দ করে। তাদের সকল কাজে গফর কাকাই ভরসা। আজ তাদের কি জবাব দিবে। আর নিজের হাতের বন্দুক দেখে মানুষ কি মনে করবে। যাক, যা কিছু ভাবুক না কেন কিছু কথা মিথ্যা দিয়ে ঢাকতে হবে। কিছু প্রশ্নের জবাব নীরবতা দিয়ে ঢাকতে হবে। কিন্তু তাদের প্রিয় মাতৃভূমি থেকে শত্রু বিতাড়িত করে দেশ স্বাধীন করতেই হবে বলে পণ করে আলফু মিয়া। সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার জন্য গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হবে সিদ্ধান্ত নেয়। আর গফর কাকাকে হত্যা করেই তার যুদ্ধ শুরু হয়।