আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই

বর্ষায় তাপদাহ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

আষাঢ় শ্রাবণ এই দুই মাস বর্ষাকাল। বর্ষা আসার পর থেকেই সজীব আর সতেজ হয়ে উঠতে থাকে প্রকৃতি। শুধু প্রকৃতিই নয়, বর্ষার স্পর্শে প্রাণ ফিরে আসে জনজীবনেও। কিন্ত বাদলের দিনেও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপদাহে পুড়ছে নগরজীবন। এরই মধ্যে চট্টগ্রামের তাপমাত্রা উঠেছে ৩৪ ডিগ্রির ঘরে। আপাতত কোনো ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া কর্মকর্তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে আজ (২১ জুলাই) কয়েক জায়গায় ফোটা ফোটা বৃষ্টি হয়েছে। এভাবে আগামী দুুয়েক দিন চলতে থাকবে। তবে এখানো কোনো ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আমরা দেখছি না। তবে ফোটা ফোটা বৃষ্টি হতে পারে এবং মৃদু তাপদাহে পুড়তে হবে কয়েকদিন। বিগত বছরে এ সময় প্রচুর বৃষ্টি হতো। কিন্তু পরিবেশের পরিবর্তনে অনেক কিছুর রূপ পাল্টে গেছে। বর্ষায় এখন গরমে জ্বলতে হচ্ছে।

আবহাওয়া সূত্রে জানা গেছে , আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দক্ষিণ /দক্ষিণ-পশ্চিম দিক হতে ঘণ্টায় ১২ থেকে ১৮ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইতে পারে।
গতকালের তাপমাত্রা ছিলো সর্বোচ্চ ৩৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনি¤œ ছিলো ২৭.০ ৫ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, নগরীতে তীব্র গরমে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ অবস্থায় অনেকে প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না।

চকবাজারের রিকশা চালক মতিন মিয়া বলেন, ‘কি যুগ পড়লো। ঝড়-বাদলের দিনেও বৃষ্টির দেখা নেই। এই গরমে দুপুরে রিকশা চালানো যায় না। বেশ কয়েক ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। কিন্ত বৃষ্টি হলে সারাদিন চালানো যায়। তখন আয় বাড়ে।’

গরম থেকে বাঁচতে খোলাবাজারে বিক্রি করা শরবতের দিকে ঝুঁকছেন সাধারণ পথচারীরা। তবে গরমে এসব পানীয় না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদি।

তিনি বলেন, ‘সাধারণত যে পানি দিয়ে শরবত বানায় সেটি বিশুদ্ধ নয়। সেই পানির তৈরি বরফ (মাছের জন্য তৈরি বরফ), ভেজাল ও কালার দেওয়া ট্যাং, লেবু, অ্যালোভেরার নির্যাস, অর্জুন, বহেড়া, হরিতকী, নানা জিনিসের সঙ্গে স্যাকারিন মিশিয়ে একসঙ্গে বা আলাদাভাবে তৈরি হওয়া এই শরবতগুলো একদিকে যেমন ছড়ায় পানিবাহিত রোগ, অন্যদিকে শরীরে ছড়াচ্ছে নানা সংক্রমিত রোগ। যেমন হেপাটাইটিস, ডায়রিয়া, টাইফয়েড অন্যতম। গরমে প্রচুর পানি খেতে হবে তবে সেটা হতে হবে বিশুদ্ধ।’