অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পোশাকশিল্পের বিকল্প নেই

বন্দর চেয়ারম্যান ও কাস্টমস্্ কমিশনারের সাথে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

বিজিএমইএ’র নব-নির্বাচিত প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম-এর নেতৃত্বে বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দ গতকাল বেলা ৩ টায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান ও বিকাল ৪টায় কাস্টস্্ হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার এম. ফখরুল আলমের সাথে তাঁদের কার্যালয়ে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।
সৌজন্য সাক্ষাৎকালে বিজিএমইএ’র নব-নির্বাচিত প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারিতে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে এর ব্যাপক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ইতিমধ্যে দৃশ্যমান। পরিস্থিতি উত্তরণে সরকারসহ সকলের সহযোগিতায় পোশাক শিল্পখাত ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক মুদ্রা আহরণসহ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পোশাক শিল্পের কোনো বিকল্প নেই। করোনাকালীন দুঃসময়ের মধ্যেও সার্বক্ষণিকভাবে কাস্টমস্্ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার জন্য তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। চলমান মন্দাবস্থা উত্তরণে পোশাক শিল্পের পণ্য চালান দ্রুত খালাস ও ক্রেতার নির্ধারিত সময়ে রপ্তানি নিশ্চিতকরণে কাস্টমস্্ ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম. শাহজাহান বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে পোশাক শিল্প অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমদানি-রপ্তানি সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম সূচারুভাবে সম্পাদন করছে। তিনি আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি পরবর্তীতে বন্দর থেকে পণ্য চালান দ্রুত ডেলিভারি নেয়া, আমদানি খরচ কমানো লক্ষ্যে বন্দর কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। পতেঙ্গা কন্টেইনার টার্মিনাল, বে-টার্মিনালসহ বন্দরের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ’লক্ষ্যে বিজিএমইএসহ সকল স্টেইক হোল্ডারদের সহযোগিতা কামনা করেন।
কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রামের কমিশনার এম. ফখরুল আলম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা তথা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার লক্ষ্যে কাস্টম হাউজ, চট্টগ্রাম সার্বক্ষণিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। পোশাক শিল্পের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজীকরণসহ দ্রুততার সাথে সম্পাদনে পারষ্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। সৌজন্য সাক্ষাতে আরো বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র প্রাক্তন প্রথম সহ-সভাপতি এরশাদ উল্ল্যাহ, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, প্রাক্তন পরিচালক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী ও অঞ্জন শেখর দাশ।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি রাকিবুল আলম চৌধুরী, পরিচালক এমডি.এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, এ.এম. শফিউল করিম (খোকন), মো. হাসান (জেকি), এম. এহসানুল হক, মিরাজ-ই-মোস্তফা (কায়সার), মেসার্স শার্ট মেকার্স লিমিটেডের এমডি শাহাদাত মোশাররফ খান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষে মো. জাফর আলম সদস্য (প্রশাসন), কমোডর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (হারবার ও মেরিন), মো. ওমর ফারুক, সচিব, চবক, এনামুল করিম পরিচালক (পরিবহন) ও লে. কর্নেল মোস্তফা আরিফ উর রহমান খান, পরিচালক (নিরাপত্তা)। বিজ্ঞপ্তি