নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। সশস্ত্র সংগঠন আরসা ও আরএসওর মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে সাধারণ রোহিঙ্গা সূত্রে জানা গেছে। গোলাগুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং মধুর ছড়াস্থ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিমের পাহাড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজনের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। তার নাম শামসুল আলম। তিনি ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্লক জি-৯-এর মোহাম্মদ হোসেনের ছেলে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী দুজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, কী কারণে, কেন এই হত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহতের একজনের মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। অপরজনের মরদেহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল মরদেহ উদ্ধারের জন্য ক্যাম্পে গেছেন। পরে বিস্তারিত জানা যাবে। নিহত অপরজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
নিহত শামসুল আলমের ছোট বোন হাসিনা বেগম বলেন, ‘আরসার লোকজন ভোরে ক্যাম্প থেকে আমার ভাইকে ডেকে পাহাড়ে নিয়ে যায়। সন্ধ্যায় জানতে পারি ভাইকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আরও কয়েকজন মারা গেছে।’
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের তথ্য মতে, এ ঘটনায় আরও একজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় আনা হয়েছিল, তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শামসুল আলমের মরদেহ মর্গে রয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) এক কমিউনিটি নেতা জানিয়েছেন, আরএসও নেতা মৌলভী রহিমুল্লাহ উল্লাহ এবং আরসা নেতা নবী হোসেন গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় দুজন ছাড়াও কয়েকজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। যাদের মরদেহ পাহাড়ে আরসার আস্তানায় রয়েছে।