মেট্রোরেল

মেট্রোরেল শুধু একটি পরিবহনব্যবস্থা নয়। এটি হচ্ছে আধুনিক নগর-পরিকল্পনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মেট্রোকে ঘিরেই নগর গড়ে তোলা হয়।

মেট্রোরেল নগরের সবচেয়ে দ্রুতগতির ও নির্ভরযোগ্য বাহন। একেবারে সময় মেনে চলে। নগরে পথ চলার অনিশ্চয়তা ও অচলতা থেকে মুক্তি দিতে পারে এই ব্যবস্থা। মেট্রোরেলে প্রতিদিন লাখ লাখ যাত্রী স্বস্তিদায়ক চলাচল করতে পারে। ফলে সড়ক পথে যানবাহন চলাচলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

উন্নত বিশ্বের প্রথম মেট্রোরেল ‘লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড’ চালু হয় ১৮৬৩ সালে। ১৮৯০ সালে একে ইলেকট্রিফায়েড করা হয়। বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মেট্রোরেল হচ্ছে ‘সাংহাই’ এবং ব্যস্ততম মেট্রোরেল হচ্ছে ‘বেইজিং’ মেট্রোরেল।

একসময় মেট্রোরেলকে স্বপ্ন মনে করা হতো। কিন্তু রাজধানী ঢাকার দিকে তাকালে এখন আর স্বপ্ন মনে হয় না। অর্থনৈতিক উন্নয়নে অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশের সামনে মেট্রোরেল এখন দৃশ্যমান বাস্তবতারই অপর নাম।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় চট্টগ্রামবাসী আনন্দিত, উদ্বেলিত।

নগরে জনবান্ধব গণপরিবহনব্যবস্থা সময়ের দাবী। চট্টগ্রামে মেট্রোরেল চালু হলে বন্দরনগরের সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলবে। মেট্রোরেল আরও আগে হওয়া উচিত ছিল। উড়ালসড়ক বা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েরও আগে।

মেট্রোরেল নির্মাণে আগামী ৫০ থেকে ১০০ বছরের কথা মাথায় রেখে পরিকল্পনা করবেন বিশেষজ্ঞ ও নগর–পরিকল্পনাবিদরা, এটা প্রত্যাশা করি। এমআরটি লাইন যত বেশী করা যাবে তাতে উপকৃত হবে নগরের সব প্রান্তের মানুষ।

শহরটাকে মেট্রোরেলের সঙ্গে জুতসই করার প্রস্তুতি এখনই নিতে হবে। সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ সরকারের অন্য দপ্তরগুলোকে তাই তৎপর হতে হবে।

মেট্রোরেল নগরবাসীকে খুব কম সময়েই  গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। এই মেট্রোরেল নগরজীবনেও ভিন্ন মাত্রা ও গতি যোগ করবে।

ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।

রুশো মাহমুদ
সম্পাদক