নিজস্ব প্রতিবেদক »
নগরের ফয়’স লেক সংলগ্ন বেলতলী ঘোনা নামের একটি পাহাড়ি এলাকায় অবৈধ গড়ে তোলা প্রায় ৫০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ৮ একর পাহাড়ি জমি থেকে এ স্থাপনা উচ্ছেদ করে জায়গাটি পুনরায় বেদখল না হওয়ার জন্য পিলার ও কাঁটাতারের বেষ্টনী দিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আকবর শাহ থানাধীন ফয়’স লেক সংলগ্ন বেলতলীঘোনা এলাকায় পাহাড়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. তৌহিদুল ইসলাম।
অভিযান শেষে তিনি বলেন, প্রথম দিনের অভিযানে ফয়’স লেক সংলগ্ন লট-৯ পাহাড়তলী মৌজার ৮ একর পাহাড়ি জায়গা থেকে অবৈধ দখলে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। বেলতলীঘোনার উত্তর পাহাড়তলী মৌজার আরো প্রায় তিন একর পাহাড়ি খাস জমি অপদখল করে নির্মিত ঘরগুলোর মালামাল অপসারণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদ অভিযানের পর জায়গা যাতে পুনরায় বেদখল না হয় এজন্য পিলার ও কাঁটাতারের বেষ্টনী স্থাপনা করা হয়েছে। সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়বেষ্টিত এলাকা আকবর শাহ, খুলশী, সীতাকু-, বায়েজিদ ও হাটহাজারী থানা এলাকার অন্যান্য পাহাড়ি এলাকার অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত থাকার কথা জানান তিনি। তিনি বলেন, ‘পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির ২৬তম সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে আজ (৬ জুলাই) উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আমরা অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ দখলে থাকা পাহাড়গুলো পুনরুদ্ধার করবো।’
উচ্ছেদ অভিযানে কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকসহ সিএমপির ৭০ জন পুলিশ সদস্য, আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়ালি উদ্দিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জনাব মোহাম্মদ হাসান, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, পিডিবির টিম, কর্ণফুলী গ্যাস প্রতিনিধি, ওয়াসা প্রতিনিধি এবং ৩০ জন আনসার সদস্য উপস্থিত ছিলেন।