সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
প্রথম দু’টি ওয়ানডেতে জঘন্য হারই সিরিজের ফয়সালা করে দিয়েছিল। বাকি ছিল নিয়মরক্ষার ম্যাচটি। শেষপর্যন্ত অবশ্য সেই ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ালো বিরাট কোহলি অ্যান্ড কোং। দলের বোলিং বিভাগে একাধিক পরিবর্তন এনেই ম্যাচ জিতল টিম ইন্ডিয়া। টি নটরাজন, শার্দুল ঠাকুর এবং কুলদীপ যাদব দলে সুযোগ পেয়েই দুরন্ত বোলিং করলেন। আর তাদের সৌজন্যেই ৩০৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে ২৮৯ রানেই থামল অজিদের ইনিংস। ভারত ম্যাচ জিতল ১৩ রানে।
প্রথম দু’টি ম্যাচে টস হেরে পরে ব্যাট করেছিল ভারত। তবে এদিন টস জেতেন বিরাটই। তবে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল করেনি টিম ইন্ডিয়া। মাত্র ২৬ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ধাওয়ান। এদিন মায়াঙ্ক আগরওয়ালের পরিবর্তে সুযোগ পাওয়া শুভমন গিল সেট হওয়ার পরও হতাশ করেন। তিনি করেন ৩৩ রান। ফের ব্যর্থ আইয়ার। তার সংগ্রহ ১৯ রান। লোকেশ রাহুলও এদিন মাত্র ৫ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
এরপরই কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের জাত চেনালেন দুই অলরাউন্ডার। দু’জনেই অপরাজিত থাকলেন শেষ পর্যন্ত। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামা অধিনায়ক বিরাটও ৬৩ রান করেই আউট হন। বলতে গেলে ভাল ব্যাটিং করলেও মাঠেই নিজের শতরানটি ফেলে আসেন।
এরপর হার্দিক যখন ব্যাট করতে এলেন তখন মাত্র ১৫২ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে ভারত। তখনও বাকি ১৯ ওভার। সেখানে থেকে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভাবে না খেলে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিলেন হার্দিক। শেষপর্যন্ত ব্যাট করলেন তিনি। মাত্র ৭৬ বলে করলেন ৯২ রান। হার্দিকের মতোই দুর্দান্ত ইনিংস খেললেন জাদেজাও। একই পরিস্থিতিতে নেমে তিনি করলেন ৫০ বলে ৬৬ রান। এই দুই অলরাউন্ডারের ইনিংসে ভর করেই অজিদের ৩০৩ রানের সম্মানজনক টার্গেট দেয় ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ওয়ার্নারের অভাব টের পায় অস্ট্রেলিয়া। মাত্র সাত রানেই ফিরে যান লাবুসানে। তাকে বোল্ড করেন এদিনই আন্তর্জাতিক মঞ্চে অভিষেক হওয়া নটরাজন। এরপর ব্যক্তিগত সাত রানের মাথায় স্টিভ স্মিথকে আউট করেন শার্দুল ঠাকুর। কিন্তু এরপরই পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে হেনরিকস (২২) সঙ্গে জুটি বাঁধেন ফিঞ্চ। এরপর দ্রুত হেনরিকস এবং ফিঞ্চ (৭৫) আউট হন। গ্রিন (২১) এবং ক্যারি (৩৮) এরপর দলের রান এগিয়ে নিয়ে যান। কিন্তু অস্ট্রেলিয়াকে পুরোপুরি ম্যাচে ফেরান সেই গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ক্রিজে আসার পরই প্রথম থেকে বেধড়ক ব্যাটিং করেন। তাকে যোগ্যসঙ্গত দেন বাকিরা।
শেষপর্যন্ত বুমরাহর বলে মাত্র ৩৮ বলে ৫৯ রান করে আউট হন ম্যাক্সওয়েল। আর ম্যাক্সওয়েল ফিরতেই ফের একবার লড়াইয়ের সুযোগ পায় টিম ইন্ডিয়া। আর সেটাকেই কাজে লাগান বুমরাহ-শার্দুল-নটরাজনরা। ডেথ ওভারে তিনজনেই দুরন্ত বোলিং করেন। ফলে ম্যাক্সওয়েল আউট হতেই দ্রুত উইকেটের পতন ঘটে অস্ট্রেলিয়ার। শেষপর্যন্ত ৪৯.৩ ওভারে ২৮৯ রানে অলআউট হয় অজিরা। আর ১৩ রানে ম্যাচ জিতে মুখরক্ষা করলেন বিরাটরা। খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা