নিজস্ব প্রতিনিধি, নাইক্ষ্যংছড়ি :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার হাট বাজার গুলো শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে পশুর হাট।
মহামারী করোনা ভাইরাস এর কারণে প্রথমে লোকজন বাজারে যাওয়া এবং পশু হাটে নেওয়া কম দেখা গেলেও শেষ মুহূর্তে এই প্রত্যন্ত জনপদের বাজারগুলোতে প্রচুর পরিমাণ গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ছাগল বিক্রির জন্য নিয়ে আসা হয়।
সরেজমিনে উপজেলার বাইশারী, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর, চাকঢালা, ঘমধুম, বড়ইতলী, সোনাইছড়ি, দৌছড়ি সহ পার্শ্ববর্তী গর্জনিয়া, থীমছড়ি বাজার ঘুরে দেখা যায় বাজারে পর্যাপ্ত গরু রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা হাজী নুরুচ্ছফা বলেন, তিনি নিজেই গরুর পরিচর্যা করেছেন।
স্থানীয় চাকডালা এলাকার বাসিন্দা শামশুল আলম জানান বাজারে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও বিক্রি অনেকটা আগের তুলনায় কম। কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে খেটে খাওয়া মানুষগুলো এখন অসহায় হয়ে পড়েছে।
তবে বাইশরি বাজারের গরু ব্যবসায়ী আবদুস সালাম জানান এ বছর মানুষের কাছে প্রচুর পরিমাণ গরু রয়েছে। তবে দাম কম হওয়ায় বাজার থেকে অনেকেই ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন। বেচা বিক্রিও কম। ক্রেতা বিক্রেতারা শুধু দর কষাকষির মধ্যেই সময় পার করছেন।
সরেজমিনে আরো দেখা যায় এবার পশুর হাটে সবগুলো বেশি রয়েছে দেশীয় জাতের গরু। প্রতিটি হাট বাজারে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে স্থানীয় পুলিশ সদস্যরা। তাই নির্ভয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতারা পশু বেচাকেনা চালিয়ে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাইশারী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. লিয়াকত আলী জানান, পুলিশ প্রশাসন সার্বক্ষণিক বাজারে রয়েছে এবং নজরদারিও বাড়িয়েছে।