সুপ্রভাত ডেস্ক »
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, ঐকমত্য কমিশন সকলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যে জাতীয় সনদ তৈরি করতে সচেষ্ট আছে, নিঃসন্দেহে তা নাগরিকের সকল অধিকার সুরক্ষিত করতে পারবে। দেশের নাগরিকদের অধিকারের সুরক্ষা নিশ্চিত করা ছাড়া একটি গণতান্ত্রিক সমাজ বা রাষ্ট্র নির্মাণ কিংবা নাগরিকের মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা যায় না।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রই কেবল নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে পারে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে পারে এবং স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে জনগণের দোরগোড়ায় সুবিচার ব্যবস্থা পৌঁছে দিতে পারে।
প্রথমবারের মত সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে এ সময় অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সংস্কার কমিশনগুলো থেকে যে সকল প্রস্তাব রাজনৈতিক দলগুলোকে দেওয়া হয়েছে এবং জাতির সামনে প্রকাশ করা হয়েছে তার লক্ষ্য হচ্ছে ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি সুনির্দিষ্ট পথ তৈরি করা।
তিনি আরো বলেন, বহু প্রাণের বিনিময়ে এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। এই সুযোগকে সফল করার জন্য সবাইকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে এবং প্রত্যাশা থাকবে, সকল রাজনৈতিক দল এই আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে অগ্রসর হবে।
আলোচনায় ইউপিডিএফের ঢাকা অঞ্চলের সংগঠক মাইকেল চাকমার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের প্রতিনিধিদলে দলটির সদস্য সুনয়ন চাকমা এবং সহযোগী সংগঠন গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অমল ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন। ইউপিডিএফসহ এ পর্যন্ত ২৮টি রাজনৈতিক দল কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়েছে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।