ফজলে এলাহী, রাঙামাটি »
‘যতদিন পর্যন্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো নতুনভাবে সাজাতে না পারবে,রাষ্ট্রের শিক্ষা, সেবা খাত ও সড়ক-জনপথের গুরুত্বপূর্ণ সেবাকে জনগনমুখী করা না যাবে, ততদিন পর্যন্ত এই সরকার কাজ করে যেতে হবে।’
মঙ্গলবার বিকেলে রাঙামাটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব মন্তব্য করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, আমরা শুনেছি বর্তমান সরকারের অনেকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আপনাদের বলে দিতে চাই সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা না নিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা সিঙ্গাপুরের মতো করুন। না হয় এই সরকারে থাকার নৈতিক অধিকার আপনারা হারিয়ে ফেলবেন।
হাসনাত বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি পুলিশ ছাড়া রাষ্ট্রের শৃঙ্খলা ফেরাতে পুলিশের প্রয়োজন রয়েছে। পুলিশের মধ্যে কেউ কেউ বেনজির হয়েছে, কেউ কেউ ডিবি হারুন হয়েছে। এর দায় সব পুলিশ সদস্যদের নয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা পুলিশের সহযোগিতা চাই।
বিগত ফ্যাসীবাদী সরকার “আই হেইট পলিটিক্স” প্রজন্ম তৈরি করে জনগণকে একে অপরের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছিল। আমরা সেই রাজনীতি অসচেতন প্রজন্ম চাই না। আমরা চাই বর্তমান প্রজন্ম রাজনীতি সচেতন হিসেবে গড়ে উঠুক।
পাহাড়ের সমস্যা নিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, পাহাড়ে অনেক সমস্যা বিদ্যমান রয়েছে। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে আহবান জানাই, পাহাড়ে সুশিক্ষা ও উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা জানতে পেরেছি পাহাড়ে বর্গা শিক্ষক ব্যবস্থা রয়েছে। যারা বিদ্যালয়ে না গিয়ে অন্য আরেকজন শিক্ষকতা করে। তাতে করে শিক্ষার গুনগতমান ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পাচ্ছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই ঢাকায় বসে একজন শিক্ষার্থী যে ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাবে পাহাড়ের প্রান্তিক পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থী সেই সুযোগ যাতে পায়।
আমি শুনেছি রাঙামাটিতে একটিও আইসিও ব্যবস্থা নেই। আমি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও ডিজি মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করছে যাতে করে শহরের মতো পাহাড়েও একই স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা যায়।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিভাগের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি। এর আগে দুুপুরে রাঙামাটির একটি আবাসিক হোটেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পৃথক দুটি অংশকে নিয়ে একটি সভা করেন সমন্বয়করা। সেখানে নানান বাকবিতন্ডার পরও দুইপক্ষকে নিয়ে ঐক্যমতে পৌঁছাতে না পারায় মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকে একটি পক্ষ।