বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়

নগর আওয়ামী লীগের আলোচনা

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ’৭২ সালের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে স্বাধীনতা পূর্ণতা পায় এবং দিনটির ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় বাঙালি জাতির আরো একটি বড় অর্জন সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধু এদিন ঢাকায় জনসমুদ্রে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুর আরাধ্যের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে বিশ্বজয় করে চলেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালনোপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দলে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে- এটা অন্যায় ও অপরাধ নয়। তবে এই প্রতিযোগিতা হতে হবে গঠনমূলক ও আত্মসমালোচনামূলক। যদি প্রতিহিংসাপরায়ণ ও ব্যক্তি চরিত্র হরণমূলক হয় তাহলে তা হবে জঘন্যতম অপরাধ এবং এটা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। তিনি তৃণমূল সহ সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, অবশ্যই সাংগঠনিক শৃঙ্খলা মেনে দলের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন তার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আরাধ্য সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বিগত ১৪ বছরের নজিরবিহীন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। অন্যথায় বাংলাদেশ অন্ধকারে ডুবে যাবে। এজন্য দেশ-বিদেশে, ঘরে-বাইরে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। অতীতে আওয়ামী লীগ শত ষড়যন্ত্র চূর্ণ করে অপরাজেয় ছিল। আমাদের কোনো শক্ত প্রতিপক্ষ নেই। আওয়ামী লীগের যেসব নেতা-কর্মীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আছে তাদের অনেকেই বিএনপি-জামাতসহ গণশত্রুদের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেন না। অথচ নিজেদের দলের নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ স্ট্যাটাস দেন। এটা জঘন্য ও আত্মঘাতী ষড়যন্ত্র।

মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী, বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, উপদেষ্টা সফর আলী, সম্পাদকম-লীর সদস্য আবদুচ ছালাম, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের আনছারুল হক, অধ্যক্ষ আসলাম হোসেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আবুল হাসেম বাবুল, আবছার উদ্দীন চৌধুরী, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী ও ইকবাল হাসান। বিজ্ঞপ্তি