৭১এ ভারতের অবদানের কথা ভুললে চলবে না : মেয়র

ইন্দ্রিরা গান্ধীর ১০৬ তম জন্মদিন পালন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঘুরেছেন, মমতাময়ী মায়ের মতো বুকে জড়িয়ে ধরেছেন, নিজ হাতে আহত অনেক মুক্তিযোদ্ধাকে ওষুধ খাইয়েছেন। তাঁর ১০৬তম জন্মদিনে সিটি মেয়র গভীর শ্রদ্ধা চিত্তে স্মরণ করেন।
১৯ নভেম্বর সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত জন্মদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী অভিমত ব্যক্ত করেন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহসভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এবং সিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম।
বক্তব্যে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম বলেন, ৭১ সালে পাকিস্তানি শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে মোকাবেলা করা নিরস্ত্র বাঙালিদের জন্য খুব সহজ ছিলো না। কিন্তু অস্ত্র সরবরাহ ছাড়াও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে এবং আশ্রয় প্রদানের সাথে সাথে বিদেশি জনমত গড়ে তুলেছিলেন এই মহিয়সী নারী ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। একাত্তরের অবদানের কথা ভুলে গেলে আমাদের চলবে না।
সেসময় ভারত সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা ছাড়া মাত্র নয় মাসে বিজয় সহজ হতো না। ১৯৭১র সেপ্টেম্বরে তিনিই স্বীকৃতি দেন বাংলাদেশকে।
সভাপতি আলী আব্বাস বলেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বরাবরই রাষ্ট্রীয় এবং সামাজিক উন্নয়নে সহযোগী হিসেবে কাজ করে চলেছে।
মহান মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাদানকারী বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে গত বছর থেকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের উদ্যোগ এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও এই আয়োজন।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ লালন করে, ধারণ করে।
শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী ১ কোটি শরণার্থীকে নিজ দেশে আশ্রয় দিয়েছেন-খাইয়েছেন। একই সঙ্গে প্রায় লক্ষাধিক মুক্তিযোদ্ধাকে নিজ দেশে আশ্রয় দিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বলে আমাদের ৯ মাসে স্বাধীন বাংলাদেশ লাভ করা সম্ভব হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রধান অতিথি সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরীকে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। শেষে জন্মদিনের কেক কাটা হয়।
এসময় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অঞ্জন কুমার সেন, রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি স ম ইব্রাহীম, সিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন হায়দার, ক্রীড়া সম্পাদক দেবাশীষ বড়ুয়া দেবু, গ্রন্থাগার সম্পাদক মিন্টু চৌধুরী, সমাজসেবা ও আপ্যায়ন সম্পাদক মো. আইয়ুব আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আলীউর রহমান, কার্যকরী সদস্য শহীদুল্লাহ শাহরিয়ার, দেব দুলাল ভৌমিক, মনজুর কাদের মনজু, মহসিন চৌধুরী, বিএফইউজে’র সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসিফ সিরাজসহ বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি