৩৪ বছর পর হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে

চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবসের সভায় বক্তারা

মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন চট্টগ্রাম গণহত্যা ঔপনিবেশিক আমলে জ্বালিয়ানওয়ালা বাগ গণহত্যার কথা মনে করিয়ে দেয়। চট্টগ্রাম গণহত্যার পর ২৪টি মূল্যবান প্রাণহানি হলেও নানাভাবে বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করা হয়েছে। এটা আমাদের কাছে লজ্জা ও ঘৃণার বিষয়। অবশ্য ৩৪ বছর পর চট্টগ্রাম গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে এবং দোষীদের ফাঁসির রায় রয়েছে।
তিনি গতকাল সকালে পুরাতন বাংলাদেশ ব্যাংক সংলগ্ন আদালত ভবনের পাদদেশে ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি গণহত্যার শহীদদের স্মরণ বেদীতে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সভায় সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন- সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে ২৪ জানুয়ারি তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সামরিক স্বৈর সরকারের প্ররোচনায় পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে। এই গণহত্যা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। আজ ৩৪ বছর পর বিলম্বিত বিচারে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হওয়ায় শহীদদের আত্মা ও তাদের পরিবারদের মাঝে শান্তি ও স্বস্তি নেমে এসেছে। এই বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত হতে পারত। কিন্তু সামরিক স্বৈরসরকার এবং বেগম জিয়া রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ক্ষমতাসীন থাকার সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে চট্টগ্রাম গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করতে চেয়েছিল। এ ধরনের নারকীয় অনেকগুলো ঘটনা বিচার প্রক্রিয়া অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও শেখ হাসিনা সম্পন্ন করেছেন এবং যুদ্ধাপরাধীসহ বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন দেশকে বিপন্ন করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের জন্য ষড়যন্ত্র হয়েছে, হচ্ছে এবং হবেই। যতদিন পর্যন্ত অপশক্তিকে রাজনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে আমরা নির্মূল করতে না পারব ততদিন পর্যন্ত আশঙ্কা থেকেই যাবে। এ আশঙ্কা দূর করার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে থাকতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, উপদেষ্টা সফর আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, সৈয়দ হাসান মাহমুদ শমসের, চন্দন ধর, আব্দুল আহাদ, বখতিয়ার উদ্দীন খান, মহব্বত আলী খান, পেয়ার মোহাম্মদ, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার প্রমুখ।
সভার শুরুতে শহীদদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর নেতবৃন্দ ২৪ জানুয়ারির শহীদদের স্মরণ বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। বিজ্ঞপ্তি