১১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিতেও জলাবদ্ধতা

নিজস্ব প্রতিবেদক»

মাত্র ১১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন স্থানে পানি জমেছে। গত কিছুদিন আগে তিন ঘণ্টায় মাত্র ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিতে নগরী জলমগ্ন হয়েছিল। এবার তিন ঘণ্টায় মাত্র ১১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিতে পানি জমলো নগরীতে। গতকাল সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় এই পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বৃষ্টিমাপকযন্ত্র। পরববর্তীতে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ১৯ দশমিক ৫ মিলিমিটার। অপরদিকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পতেঙ্গা কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ শেখ হারুনুর রশিদ বলেন, তিন ঘণ্টায় ১১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি হয়েছে ১২১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত।
তিনি আরো বলেন, মৌসুমী বায়ু সক্রিয়তায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বর্ষণ হচ্ছে। এখন দিনভর এমন থেমে বর্ষণ হবে। তবে ভারী বৃষ্টিপাতের কোনো পূর্বাভাস নেই।
এদিকে সকালের একটানা বর্ষণে নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত রাস্তার উপরে হাঁটু সমান পানি জমে গেছে। একইসাথে চকবাজার, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, শুলকবহরসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছে। সকালসাড়ে ১১টা পর্যন্ত পানি নামেনি। স্থানীয়রা জানান, খালগুলোতে এখনো মাটি ভরাট থাকায় পানি নেমে যেতে পারছেনা। আর এতেই জলমগ্ন হচ্ছে নগরী।
এদিকে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় সেনবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, খালগুলোর বাঁধ অপসারণের কাজ চলছে। পর্যায়ক্রমে সব বাঁধ অপসারণ করা হবে এবং খালগুলোতে থাকা মাটি উত্তোলন করা হবে।
মৌসুমী বায়ু সক্রিয়তায় চট্টগ্রামসহ সারাদেশে বৃষ্টি হচ্ছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঈশ্বরদীতে ১৯৬ মিলিমিটার। এছাড়া টেকনাফে ১২০ মিলিমিটার, সীতাকুণ্ডে ১১০ মিলিমিটার, টাঙ্গাইলে ১২১ মিলিমিটারসহ সারাদেশে বর্ষণ হচ্ছে। তবে আজ দুপুরের পর বৃষ্টিপাতের তীব্রতা কিছুটা কমে আসতে পারে।
এদিকে গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতিদের উচ্ছেদে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। গতকালও নগরীর আকবরশাহ, বায়েজীদ, লালখান বাজার, ফয়’স লেক প্রভৃতি এলাকা থেকে ঝুঁকিপূর্ণস্থানে বসবাসকারীদের সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, নগরীর খালগুলোর উভয়পাশে রিটেনিং দেয়াল নির্মাণের কাজে খাল ভরাট করে কাজ করা হচ্ছে। এসব খালের মাটি অপসারণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।