স্বাধীনতা আন্দোলনে বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল ডা. কাদেরী’র

স্মরণসভায় বক্তারা

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নিউরোসার্জন, কিংবদন্তী চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এলএ কাদেরী’র স্মরণসভা গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদের নির্বাচিত সদস্য, অধ্যাপক ডা. এলএ কাদেরী’র বন্ধু এবং স্মরণসভা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সামসুদ্দীন চৌধুরী’র সভাপতিত্বে ও স্মরণসভা পরিষদের আহ্বায়ক সীতাকুণ্ড উপজেলার তাহের-মনজুর কলেজের অধ্যক্ষ মুকতাদের আজাদ খান এর সঞ্চালনায় সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কবি লায়ন আবু ছালেহ্। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সফল মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মরহুম অধ্যাপক ডা. এলএ কাদেরী’র ছোট ভাই, প্রবীণ সাংবাদিক নেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা, ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অব প্রেস কাউন্সিলস ও বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর সাবেক সদস্য মইনুদ্দীন কাদেরী শওকত।
আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি ইসকান্দর আলী চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এম নাছিরুল হক, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ মইনুদ্দীন, প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর শহিদুল আলম, স্বাধীন সংবাদপত্র পাঠক সমিতির সভাপতি সাংবাদিক এসএম জামাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা সমিতির সভাপতি রোসাংগির বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মো. দিলদার, সাবেক এপিপি অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহতেশামুল হক, বাংলাদেশ ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ম্যানেজার মো. এহসানুল হক, শিক্ষাবিদ আবুল বশর, প্রাক্তন ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাকিম চৌধুরী লিটন, সাপ্তাহিক ইজ্তিহাদ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার এহছানুল হক চৌধুরী, নোটারি পাবলিক অ্যাডভোকেট জফর আহমদ, তরুণ সাংবাদিক এসএম আমজাদ হোসেন জুয়েল, শেভরন এর মহাব্যবস্থাপক পুলক পারিয়াল, সাজিদুল আনোয়ার কাদেরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, অধ্যাপক ডা. এলএ কাদেরী আমার দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত বন্ধু। তিনি অত্যন্ত মানবিক, সৎ ও সফল চিকিৎসক ছিলেন। আন্দোলন সংগ্রামে যে সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মী আহত ও গুলিবিদ্ধ হতেন তাদের তিনি আন্তরিকভাবে চিকিৎসা ও সহযোগিতা করতেন। অনেক আহত নেতাকর্মীর মাথা থেকে গুলি বের করে উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে জীবন ফিরিয়ে দিতেন। তিনি মানুষের যেই সেবা করে গেছেন আল্লাহ পাক অবশ্যই উনাকে বেহেশত দিবেন।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় সংসদ সদস্য ও স্মরণসভা কমিটির চেয়ারম্যান ডা. সামসুদ্দীন চৌধুরী বলেন, আমার বন্ধু অধ্যাপক ডা. এলএ কাদেরী অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। কঠিন চিকিৎসাকে সহজ করেছিলেন এবং সর্বজন শ্রদ্ধেয় ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে ডা. কাদেরী’র বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল।
স্মরণসভায় বিভিন্ন বক্তা বলেন, অধ্যাপক ডা. এলএ কাদেরী শুধু একটি নাম নয়-একটি ইতিহাস, একটি আদর্শ, একটি প্রতিভা, একটি সংগ্রাম। মানবতার মহাসমুদ্র একটি উজ্জ্বল তারাকা। উত্তাল সমুদ্রে অন্ধকার রাতে নাবিক যেমন তারাকা দেখে দিক নির্ণয় করে তেমনি সংকটের সময় পেশাজীবী ও চিকিৎসক সমাজ এলএ কাদেরী’র ভূমিকা দেখে দিক নির্ণয় করতে পারতো, সঠিক পথের সন্ধান পেতো। বিজ্ঞপ্তি