সীতাকুণ্ডে প্রতিমা শিল্পীদের আয় কমেছে

সীতাকুণ্ডে প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত কারিগর-সুপ্রভাত

করোনার প্রভাব

মো. নাছির উদ্দিন অনিক, সীতাকুণ্ড :
আগামী ২৩ অক্টোবর হতে শুরু হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা। মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সীতাকু-ে পুজার পরিধি ছোট হয়ে আসায় প্রতিমাশিল্পীদের ব্যবসায় ধস দেখা দিয়েছে। ব্যবসায় ধসের কারণে তাদের জীবনজীবিকায় টানপড়েছে। করোনার কারণে এরআগে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় দুটি উৎসব সংক্ষিপ্ত আকারে পালন হওয়ার পর হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান উৎসব সংক্ষিপ্ত করার সরকারি নির্দেশনা থাকায় প্রতিমা ব্যবসায়ে ধস নেমেছে। সরেজমিনে প্রতিমা কারখানাগুলোতে ঘুরে জানা যায়, প্রতিমা গড়ার কারিগর ও কারখানার মালিকরা সারাবছর দূর্গাপুজার আয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতেন। এই করোনার প্রভাবে তারা অর্থনৈতিকভাবে খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। করোনায় প্রতিমাশিল্পীদের অর্ডার কম ও প্রত্যেক মন্ডপে পুজার বাজেট কমে যাওয়ায় প্রতিমাশিল্পীদের দুর্ভোগ বেড়েছে। সীতাকু- পৌর সদরে ৩টি কারখানা রয়েছে যথাক্রমে কলেজ রোডের বড় বাজারে কৃষ্ণ শিল্পালয়, শনিবাড়িসংলগ্ন লোকনাথ প্রতিমালয় ও গজারিয়া দীঘিরপূর্ব পাড়েমা প্রতিমালয়। প্রতিবছর এই ৩টি কারখানায় সীতাকু-, মিরসরাই উপজেলা ও চট্টগ্রাম সিটির বিভিন্ন মন্ডপের প্রায় ১শ১০ থেকে ১শ২০টিপ্রতিমার অর্ডার পাওয়া যেত। করোনার প্রভাবে কমে হয়েছে মাত্র ৫৫টি। বড় বাজারের কৃষ্ণ শিল্পালয়ের স্বত্বাধিকারী অরূপ পাল জানান, আমরা দূর্গাপুজা উপলক্ষে ৪ মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে থাকি।গতবছর আমরা ৩০টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছিলাম এবারে কমে হয়েছে ১৬টি। যার ফলে আমাদেরকে লোকসান গুনতে হচ্ছে। মা প্রতিমালয়ের মালিক আদিত্য আচার্য্যও একই সুরে বলেন,গতবার আমরা ৩৮টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছিলাম এবারে কমে হয়েছে ২০টি। অন্যদিকে গতবারের চেয়ে দামওকমে গেছে, গতবারের ৮৫ হাজার টাকার প্রতিমা এবারে ৬৫ হতে ৭০ হাজার টাকায় অর্ডারে বিক্রি করতে হচ্ছে। কারখানার কারিগরদের বেতন দিতে হবে মুলধন থেকে। সীতাকু- উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক ও পৌরপ্যানেল মেয়র হারাধন চৌধুরী বাবু বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আমরা প্রতিমা কারিগরদেরকে যতটুকু পেরেছি ত্রাণ সাহায্য করেছি। এই সাহায্য তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেনা।
পৌরসভা পুজা উদযাপন কমিটিরসহ-সভাপতি নান্টু পাল ও সাধারণ সম্পাদক সুজিত জানান,এবারের দূর্গাপুজায় আরতি ও সাংস্কৃতি কপ্রতিযোগিতা, শোভাযাত্রা, ডিজেবাজনা ইত্যাদি বন্ধের নির্দেশনাএসেছে এবং মাস্ক অবশ্যই পড়তে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এইসব নির্দেশনার কারণে পুজায় প্রতিমাশিল্পীদের উপর প্রভাব পড়েছে।