সাড়ে চার হাজার পার হলো করোনা রোগী, নতুন আক্রান্ত ২০৭ জন

নিজস্ব প্রতিবেদক

নমুনা পরীক্ষায় নতুন সংযোজন হলো বেসরকারি ইমপেরিয়াল হাসপাতাল। গতকাল চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবের ৭৩৮টি নমুনার মধ্যে ২০৭টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ২০৭ পজিটিভের মধ্যে নগরীতে ৮৮ জন ও বিভিন্ন উপজেলায় ১১৯ জন। এদিকে নতুন করে ২০৭ জন শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৪,৫৯৩ জন, এদের মধ্যে সুস’ হয়ে বাড়ি গেছে ২৯৪ জন এবং মারা গিয়েছে ১০২ জন।

সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৬৩টি নমুনার মধ্যে ২৬টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ২৬ জনের মধ্যে ১০ জন মহানগরের এবং ১৬ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫৮টি নমুনার মধ্যে ৪৪ জন পজিটিভ হয়েছে, এরমধ্যে নগরীর ৫ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৩৯ জন। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৬২ জনের নমুনায় ৭ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের সকলে বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ১৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭২ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এরা সকলে নগরীর বাসিন্দা। অপরদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গতকাল কোনো রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

এদিকে বৃহস্পতিবার নতুন করে ২০৭ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৪,৫৩৯ জন। এর আগে ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন,  ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন,  ২১ মে  ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন,  মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের  ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।