সাতই মার্চের ভাষণ বিশ্বজুড়ে আগত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে

সুপ্রভাত ডেস্ক »

সাতই মার্চের ভাষণ বিশ্বজুড়ে আগত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জনের সঙ্গে অতিথিরা।

মিডিয়াকে আধুনিক সমাজের ‘আয়না’ হিসেবে বিবেচনা করা হয় উল্লেখ করে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ডা. রাজীব রঞ্জন বলেছেন, গণতন্ত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়া ছাড়া সামাজিক ন্যায়বিচার অকল্পনীয়।

তিনি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, তিনি ছিলেন আন্দোলন, বিপ্লব। তার আদর্শ তার চৌম্বক ব্যক্তিত্ব, তার মন্ত্রমুগ্ধকারী বক্তৃতা বিশেষ করে ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ বিশ্বজুড়ে আগত প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। কিউবার সাবেক রাষ্ট্রপতি ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, তিনি প্রকৃত হিমালয় দেখেননি তবে তিনি শেখ মুজিবের মধ্যে হিমালয়ের অভিজ্ঞতার সাক্ষী ছিলেন, একজন অসীম সাহস এবং সংকল্পের ব্যক্তিত্ব।
শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরের জাকির হোসেন সড়কের ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনারের বাসভবনে ‘মিডিয়া রিসিপশন’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. রাজীব রঞ্জন বলেন, ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। আমি দৃঢভাবে বিশ্বাস করি যেকোনো দেশের সঙ্গে অন্য কোনো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পর্কের সঙ্গে মেলে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর হয়ে গেছে। বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে সত্যিকারের বন্ধু, বিশ্বস্ত প্রতিবেশী এবং ভারতের মূল্যবান অংশীদার। ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সদিচ্ছার বিপুল সম্ভার রয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার ওপর ভিত্তি করে। ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘সোনালি অধ্যায়’- সোনালি পর্বের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। খবর বাংলানিউজ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অকৃত্রিম। মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সহযোগিতার কথা আমরা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি।

কবি-সাংবাদিক আবুল মোমেন বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ তথা চট্টগ্রামের সুসম্পর্ক প্রাচীন কাল থেকে। সাতচল্লিশের পর এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও গভীরতর হয়। এ সম্পর্ক দুই দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে সেতুবন্ধন রচনা করেছে।

দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক ডা. ম. রমিজউদ্দিন চৌধুরী, সুপ্রভাত বাংলাদেশের সম্পাদক রুশো মাহমুদ ও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস। সব শেষে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।