সহজ জয়ে ফাইনালে কক্সবাজার

বিভাগীয় মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্ট

এ জেড এম হায়দার :
বৃহত্তর চট্টগ্রামের দুই দল স্বাগতিক চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলার বিদায়ের পর এ অঞ্চলের একমাত্র প্রতিনিধি ছিল কক্সবাজার। চাঁদপুরকে বিদায় করে ফাইনালে পৌঁছে তারা মান রক্ষা করেছে। বান্দরবান ভেন্যুতে রাঙামাটি জেলার জালে ৫ গোল দেয়া কক্সবাজার জেলা চট্টগ্রাম ভেন্যুতেও নিজেদের দাপট অব্যাহত রেখেছে। এস. আলম গ্রুপ বিভাগীয় মুজিববর্ষ ফুটবল টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে গতকাল ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে তারা উড়তে থাকা চাঁদপুর জেলাকে হতাশ করে ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে। তাদের পক্ষে জাহাঙ্গীর ২, সাগর ও কাশেম ১টি করে গোল করেন। আগামীকাল (১১ ডিসেম্বর) শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে কক্সবাজার ফেনী জেলার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। খেলা মাঠে গড়াবে বিকেল ৫টায়।
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটের আলোতে শুরুতে অগোছালো থাকলেও সময় গড়ানোর সাথে পরিকল্পিত আক্রমণের মধ্য দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর প্রভার বিস্তার করে। প্রথমার্ধে অনেকটা সমানতালে পাল্লা দিলেও দ্বিতীয়ার্ধে সাগরপাড়ের দলের সামনে চাঁদপুরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রাপ্ত সব সুযোগ কাজে লাগাতে পারলো মাসুদ আলমের দল আরো বিশাল জয় পেতো। ২৮ মিনিটে সাগরের গোলে লিড পায় কক্সবাজার। ডানপ্রান্ত থেকে শেখ মোহাম্মদের শূন্যে পাঠানো বল বক্সে জাহাঙ্গীরের মাথা ঘুরে ফাঁকায় সাগরের কাছে গেলে জোরালো শটে জালের ঠিকানা খুঁজে পান (১-০)। ৪০ মিনিটে চাঁদপুরের নাজমুলের বিপজ্জনক শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে সমতা আনার সুযোগ নষ্ট হয়। কক্সবাজার দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই চট্টগ্রামের লিগে বিভিন্ন দলের হয়ে খেলেন। পরিচিত মাঠে তারা দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগকে ভেঙ্গে চুরমান করে দিয়ে একাধিক সুযোগ করে তিনটি’র সদব্যবহার করেন। কক্সাবাজার থেকে বাসভর্তি আসা সমর্থকরা খেলোয়াড়দের উৎসাহিত জুগিয়েছে। এ অর্ধের ১০ মিনিটে রাফু’র ফ্রি-কিক বক্সে ফাঁকায় পেয়ে সাগর নিপুন শটে জালে পাঠিয়ে ব্যবধান ২-০ করেন। ২৬ ও ৩০ মিনিটে সুযোগ নষ্ট হলেও ৩৭ মিনিটে শেখ আহম্মদের সেন্টার আয়ত্বে নিয়ে কাসেম বল জালে পৌঁছে দেন (৩-০)। ৪২ মিনিটে বক্সের বাইরে ডানপ্রান্ত থেকে ’পাওয়ার’ শটে জাহাঙ্গীর চাঁদপুরের কফিনে শেখ পেরেক ঠুঁকে দেন (৪-০)। ম্যাচসেরা জাহাঙ্গীরের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ। খেলা পরিচালনা করেন জি এম চৌধুরী নয়ন। সহকারী ছিলেন শহিদুল হক ও জাহিদুল ইসলাম।