শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন না ভেট্টোরি

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
ক্যালেন্ডারের পাতা উল্টে হিসেব করলে এক বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আসেন না ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। সেই গত মার্চে করোনার ভয়াল আক্রমণ শুরুর পর থেকে আর টাইগারদের কোচিং করাননি এ কিউই স্পিন বিশেষজ্ঞ।
অবশেষে এবার নিজ দেশ নিউজিল্যান্ডে মেহেদি হাসান মিরাজ, মেহেদি শেখ ও নাসুম আহমেদদের কোচিং করাচ্ছেন এ সাবেক ব্ল্যাক ক্যাপস অধিনায়ক।
গত ১০ মার্চ বুধবার কুইন্সটাউনে দলের সাথে যোগ দিয়ে ১১ মার্চ থেকে প্র্যাকটিসে নিয়মিত ভেট্টোরি।
নিউজিল্যান্ড সফরে টাইগারদের দলনেতা জালাল ইউনুস আগেই জানিয়ে রেখেছিলেন, কিউইদের সাথে তিন ম্যাচের ওয়ানডে আর সমান সংখ্যক ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দলের সাথে থাকবেন ভেট্টোরি। এরপর শ্রীলঙ্কায় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে তার সার্ভিস মিলবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। কারণ নিউজিল্যান্ড থেকে বারবার বলা হয়েছে এবং হচ্ছে যে, দেশের কঠোর করোনা প্রটোকল মেনে যে কারো জন্য আসা-যাওয়া কঠিন।
তাই ধরেই নেয়া যাচ্ছিল যে, করোনা পরিস্থিতি ঠিক না হলে ভেট্টোরিকে নিউজিল্যান্ডের বাইরে পাওয়া যাবে না। গতকাল ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটি প্রধান আকরাম খানের কথা শুনেও তা-ই মনে হলো।
আকরাম খান জানিয়ে দিয়েছেন, নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খেলা শেষ হওয়ার পর আপাতত ভেট্টোরির সার্ভিস মিলবে না। মানে তাকে শ্রীলঙ্কায় দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে পাওয়া যাবে না। তার বদলে দেশি কাউকে দিয়ে কাজ চালানো হবে।
কারো নাম উল্লেখ করে বিসিবির শীর্ষ কর্তা আকরাম বলেন, ‘ভেট্টোরির সঙ্গে চুক্তি টি-টোয়েন্টি সিরিজ পর্যন্ত। করোনার সময়ে নিউজিল্যান্ড যাওয়া এবং আসায় বিরাট একটা সিসটেমেটিক প্রবলেম আছে। সেটার জন্য আমরা আপাাতত নিউজিল্যান্ডের বাইরে ওকে পাব না। আমরা ভবিষ্যতে চিন্তা করব কি করা যায়। এর মধ্যে স্থানীয় কোচ আছে, যাকে নিয়ে আমরা শ্রীলঙ্কা যাব।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ভেট্টোরির বিকল্প হিসেবে সোহেল ইসলাম কাজ করেছিলেন । ধারণা করা হচ্ছে, শ্রীলঙ্কা সফরেও তিনিই জাতীয় দলের স্পিন কোচের দায়িত্ব পালন করবেন।
কেন এবং কি কারণে ভেট্টোরিকে বাংলাদেশে এনে কোচিং করানো সম্ভব হচ্ছে না? এমন প্রশ্নে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভেট্টোরির যদি আসতে হয়, তাহলে অনেক ঝামেলা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে যদি ওকে আনতাম, তাহলে ওকে ৭০-৭৫ দিন বাইরে থাকতে হবে। এটা ওর জন্য এবং আমাদের ক্রিকেটের জন্য কিন্তু ভালো না। কারণ ৩০ দিনের জন্য যদি অতিরিক্ত ৪০ দিন বাইরে থাকতে হয়, তাহলে হয় না। এটা পরিস্থিতির কারণে। ভেট্টোরিকে দোষ দেয়ার কিছু নেই। আমরা ভবিষ্যতে দেখব কি করা যায়।’ খবর : জাগোনিউজ’র।