যে কারণে শুটিং চলবে

সুপ্রভাত ডেস্ক :

করোনাভাইরাসের প্রকোপ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় ১ জুলাই থেকে সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। কঠোর এই কার্যক্রম শুরুর আগে আজ সোমবার (২৮ জুন) থেকে শুরু হয়েছে সীমিত লকডাউন।

যেখানে অনেক কিছুই সীমিত করা হয়েছে। তবে বিনোদন অঙ্গনের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সেক্টর চলচ্চিত্র ও নাটক পাড়ায় চলবে আগের মতোই।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে চলচ্চিত্র ও টিভি নাটকের বেশ কয়েকটি সংগঠন। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, ‘শুটিং বন্ধ করার কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আমরা পাইনি। যদি ১ জুলাই সেটা আসে- আমরা তা করব। এর আগে সবকিছু আগের মতোই চলবে।’

টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টেলিপ্যাব) সভাপতি অভিনেতা-প্রযোজক ইরেশ যাকের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গতকাল (২৭ জুন) আমরা যে প্রজ্ঞাপন দেখেছি, তাতে আমাদের মনে হয়েছে আমরা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনের মধ্যে পড়েছি। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নিজস্ব যাতায়াত ব্যবস্থাপনায় কাজ চালিয়ে যাওয়া যাবে। আমরা সেভাবেই আপাতত কাজ চালাবো।’ ঠিক একই ব্যাখ্যা দিয়েছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম। বললেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনে এতদিন যেভাবে হয়েছে ঠিক সেভাবেই শুটিং আগের মতোই চলবে। আর সরকারের পক্ষ থেকে বাকি কোনও নির্দেশনা এলে সেটা বিবেচনা করা হবে।’

বিষয়টি নিয়ে নিয়মিতই নাটকের অন্তঃসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানান এই অভিনেতা। তাগাদা দেওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মানার। তবে গত বছরে করোনার দুঃসহ্যমুহূর্তগুলো এবার কাটিয়ে উঠতে চান বলে জানালেন ইরেশ যাকের। তিনি বলেন, ‘আমরা (টেলিভিশনের শিল্পী-কলাকুশলী) এখনও সরকারের পক্ষ থেকে আপদকালীন সহযোগিতা পাইনি। গতবার আমরা নিজেরা ব্যক্তিগত জায়গা থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রতিবারই তো সেটা সম্ভব নয়। তাই এখন যদি কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে শিল্পী-কলাকুশলীদের দুই-তিন মাসের ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে। কারণ ঈদ বড় একটা আয়ের সময়। একজন দোকানদার বা নিম্ন আয়ের মানুষ চাইলেই অন্যের কাছে সাহায্য নেন, কিন্তু শিল্পীরা সেটা করতে পারেন না।’

ইরেশ জানান, যদি ১ জুলাই সব বন্ধ হয় তাহলে দেড়শ কোটি টাকার উপরে লোকসান হবে।

 

তার ভাষ্য, ‘রোজার ঈদে তিন-চার মাস ধরে কাজ হয়। কোরবানির ঈদে সে সুযোগ থাকে না। হাতে দেড়-দুই মাস সময় পাওয়া যায়। যদি ১ জুলাই শুটিং বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তিন ভাগের এক ভাগ কাজ বাদ থাকবে। মানে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার লোকসান হবে। যার মধ্যে ১০০-১২০ কোটি টাকা হলো শিল্পী-কলাকুশলীদের পারিশ্রমিক। তারা কীভাবে চলবে? তাই আপদকালীন এ সময়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’