যুদ্ধাপরাধীর স্ত্রী-সন্তানদের রাজনীতি নিষিদ্ধসহ ৫দফা দাবি

স্মরণসভায় বক্তারা

যুদ্ধাপরাধীর স্ত্রী- সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের রাজনীতি ও নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা, দ-িত যুদ্ধাপরাধীদের সকল সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা, জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে সকল যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করে পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা, মুক্তিযুদ্ধে নিরস্ত্র বাঙালিদের নির্যাতনের জন্য রাজাকার-আলবদর, পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গড়ে তোলা সকল ‘টর্চার ক্যাম্পকে’ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর হিসেবে গড়ে তোলা এবং হুম্মামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের ও গ্রেফতারের দাবীতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলা কমিটি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
১৬ নভেম্বর সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্তি ডিআইজি প্রবীন কুমার রায়, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাহাবুবুল ইসলাম প্রিন্স, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, সহ-সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাহামুদ রেজা, শের স¤্রাট খান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক সাহেদ মুরাদ সাকু, জেলার আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার মশিউজ্জামান সিদ্দিকী পাভেল, মহানগর সদস্য সচিব কাজী মুহাম্মদ রাজিশ ইমারান, জেলার সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেল, সদস্য সৈয়দ মাইনুল আলম সৌরভ, জয়নুদ্দিন আহমেদ জয়, ফয়সাল জামিন চৌধুরী সাকি, মোশারফফ হোসেন, জয়নুদ্দিন জয়, মোহাম্মদ রায়হান, মনির আহমদ প্রমুখ। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা ইতিমধ্যে আমাদের ৫ দফা দাবী উপস্থাপন করেছি। মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবময় ঘটনা। এই যুদ্ধে বিজয়ের মধ্যে দিয়েই আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন দেশ, নিজস্ব পতাকা। ১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়াদিয়ে বাংলার ছাত্র-যুবক, কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের জনগণ বর্বর হানাদার পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। তারই পরিণতিতে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়। বিশ্বের মানচিত্রে খোদিত হয় একটা নাম- ‘স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ’। বর্তমানে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার-আলবদর, যুদ্ধাপরাধীদের স্ত্রী-সন্তানরা প্রকাশ্যে রাজনীতির নামে দেশের স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। নেতৃবৃন্দ দ্রুত সময়ের মধ্যে যুদ্ধাপরাধীদের স্ত্রী-সন্তানদের রাজনীতি নিষিদ্ধ সহ ৫ দফা দাবী বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট জোর দাবী জানান। বিজ্ঞপ্তি