যথারীতি জমেছে পানি

দুই নম্বর গেট ও চকবাজার, ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি

নিজস্ব প্রতিবেদক »

বৃষ্টি হলো এবং যথারীতি ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় পানি জমলো। ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকা ছাড়াও কাতালগঞ্জ, চকবাজার, কাপাসগোলা ও কেবিআমান আলী রোড এলাকায় পানি জমেছে। আগামীতেও এসব এলাকায় পানি জমবে এই সতর্কবার্তাই যেনো দিয়ে গেল।
গতকাল শনিবার সকালে নগরীতে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। আর তাতেই হাঁটু সমান পানি জমে জলাবদ্ধতা দুর্ভোগ তৈরি করে ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায়।
সকাল আটটা থেকে নয়টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ঝরে নগরীতে। সকাল ৯টার পর বৃষ্টির তীব্রতা কমে গেলেও ধীরে ধীরে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টি ঝরে। এই বৃষ্টিতে ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় সবচেয়ে বেশি পানি জমে। জলাবদ্ধতা নিরসনে ৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকার কাজ গত চার বছর ধরে চলমান থাকলেও এখনো একই স্থানে পানি জমছে। অপরদিকে চকবাজার কেবি আমান আলী রোডে আগেও পানি উঠতো। এই এলাকার নালা ও খালগুলো পরিচ্ছন্ন করার পরও পানি উঠছে। এছাড়া অলংকার মোড়, পশ্চিম ফিরোজশাহ, অলংকার মোড় এলাকার আব্দুল আলী নগর, বাকলিয়া সৈয়দশাহ রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে পানি জমে।
ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় পানি জমবে বলে আগেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যাওয়ায় এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহ আলীর কাছে। তিনি বলেন, ‘ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় রিটের্নিং দেয়াল নির্মাণের কাজ করছে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এখানকার বাঁধ কাটাই ছিল। কিন্তু গত রাতে কাজের জন্য অস্থায়ী একটি বাঁধ দিয়েছিল ঠিকাদার। কিন্তু রাতে কাজ শেষে আর বাঁধটি কাটা হয়নি। ফলে সকালের বৃষ্টিতে এই এলাকায় পানি জমে যায়। আমরা সেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
কিন্তু চকবাজার এলাকায় পানি উঠছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চকবাজার এলাকার নালা ও খালগুলোর আন্তঃসংযোগ এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। তাই এলাকায় এবছরও বিক্ষিপ্তভাবে পানি জমবে। আগামী বছর তা হয়তো আর থাকবে না। এছাড়া নগরীর অন্যান্য এলাকায় কিন্তু পানি উঠার তেমন চিত্র দেখা যায়নি।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শনিবার চট্টগ্রামসহ সারাদেশেই বৃষ্টি ও ঝড় হয়েছে। চট্টগ্রামে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলেও সীতাকুণ্ডে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ৬৩ মিলিমিটার হয়েছে। এছাড়া সন্দ্বীপে ৪৭, রাঙামাটিতে ৩৮ ও কক্সবাজারে ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এবছর এখনো বর্ষা মৌসুম শুরু হয়নি। বর্ষার পূর্বের বৈশাখী বৃষ্টিতে নগরীতে পানি জমছে।