মেসিকে কিনতে চায় সৌদি ক্লাব আল হিলাল

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে এরই মধ্যে দলে টেনে নিয়েছে আল নাসর। আড়াই বছরের জন্য চুক্তি। প্রতি বছর ৭৫ মিলিয়ন ডলার। আড়াই বছরে প্রায় ১৮৭ মিলিয়ন ডলার। বিশাল অংকের এই পারিশ্রমিকে রোনালদোকে আল নাসর দলে নেওয়ার পর তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী আল হিলাল ক্লাবও মাঠে নেমেছে। এবার তারা দলে ভেড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছে খোদ মেসিকে। খবর জাগোনিউজ’র
রোনালদোর চেয়ে দ্বিগুণ অর্থ দেওয়া হবে মেসিকে। পরিমাণটা ৩৫০ মিলিয়ন ডলার। তাও মাত্র এক বছরে! স্প্যানিশ পত্রিকা মুন্ডো দেপোর্তিভো জানিয়েছে এ তথ্য। পিএসজির সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তির মেয়াদ রয়েছে আর ৬ মাস। এখন পর্যন্ত পিএসজির সঙ্গে নতুন চুক্তির ব্যাপারে একমত হতে পারেননি আর্জেন্টাইন তারকা। চুক্তি বাড়ানো না হলে আগামী জুনেই পুনরায় ফ্রি এজেন্ট হবেন বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা। তবে কী আর ফ্রান্সের থাকতে চাচ্ছেন না মেসি!
স্প্যানির সংবাদপত্র মার্কা জানিয়েছে, সৌদির ক্লাব আল হিলাল এবং আল ইত্তিহাদ মেসিকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে। মেসির এজেন্টের সঙ্গে কথা বলছে তারা। দুই ক্লাবেরই প্রস্তাবের পরিমাণ রোনালদোর চেয়ে দ্বিগুণ। শুধু সৌদির দুই ক্লাবই নয় আরও দুটি ক্লাব মেসিকে পেতে আগ্রহী। তার মধ্যে একটি হলো তার পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনা। দ্বিতীয়টি যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের ক্লাব ইন্টার মিয়ামি। কিন্তু এই দুই ক্লাবের পক্ষে সৌদির ক্লাবের সমান টাকা দেওয়ার ক্ষমতা হয়তো নেই। তাই আগ্রহ দেখালেও লড়াইয়ে পিছিয়ে তারা। সুতরাং, মেসি যদি প্যারিস ছেড়ে যান তা হলে তিনি সৌদির কোনো ক্লাবে হয়তো যাবেন। তবে সৌদি ক্লাবকে হয়তো হতাশই হতে হবে। কারণ পিএসজি সূত্রে খবর এসেছে, এরই মধ্যে নতুন বিষয়ে ক্লাবকে মৌখিক সম্মতি জানিয়েছেন মেসি। বিশ্বকাপ জেতার পরে ক্লাবের হয়ে খেলতেও নেমেছেন তিনি। এখনও পুরনো চুক্তির মেয়াদ রয়েছে। সেই চুক্তি শেষ হলেই মেসির চুক্তির মেয়াদ বাড়বে বলে দাবি পিএসজির এক কর্মকর্তার।
এর মধ্যেই সৌদিতে মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ অনুষ্ঠিত হবে। ১৯ জানুয়ারি প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) প্রদর্শনী ম্যাচ খেলবে আল হিলাল এবং আল নাসেরের মিলিত দলের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ হবে কিং ফাহাদ স্টেডিয়ামে। সেখানে ৬৮ হাজার দর্শক ধরে। কিন্তু এর মধ্যেই ২০ লাখ মানুষ টিকিট চেয়ে আবেদন করেছেন। মূলত সৌদি আরবের লক্ষ্য হচ্ছে ২০৩০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হওয়া। সে লক্ষ্যে আগে থেকেই সৌদি ফুটবলের প্রতি বিশ্ববাসীর আগ্রহ সৃষ্টির লক্ষ্যে বড় বড় ম্যাচের আয়োজন করছে তারা। সেই সঙ্গে বড় বড় খেলোয়াড় এনেও নিজেদের প্রস্তুত করতে চাইছে সৌদি আরব।