ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুরু

সুপ্রভাত ডেস্ক :
প্রতিটি বড় আবিষ্কারই সমালোচিত হয়েছে। প্রথম যখন বাষ্পচালিত ইঞ্জিন আবিষ্কার হলো, অনেকে তাকে বলেছে, ‘কালো ধোঁয়া ছাড়া দানব’।
যখন টেলিভিশন এলো, ভয় পেয়ে গিয়েছিল সিনেমা শিল্প। ছোট পর্দার কাছে এই বুঝি মার খাবে বড় পর্দা। কুয়েন্টিন টারান্টিনোর ‘ওয়ান্স আপন অ্যা টাইম ইন হলিউড’ সিনেমাতেও তা কল্পিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। তবে সুখের বিষয় হলো, বছরের পর বছর ধরে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করছে বড় ভাই। মানুষ প্রেক্ষাগৃহে যাওয়া বন্ধ করেনি। খবর বাংলানিউজের।
এবার বড় ভাইয়ের শরীরে কাঁপুনি তুলে দিয়েছে নবাগত স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো। অন্তত বিগত পাঁচ বছর ধরে নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, হটস্টার, ডিজনি, জিফাইভের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো বিনোদন জগতে দাপুটে প্রভাব ফেলেছে। এখন তো বাড়ির টেলিভিশনের স্ক্রিন আরও বড় ও উন্নত। তদুপরি করোনা মহামারিতে মানুষ যখন গৃহবন্দি, ছয় মাস ধরে সিনেমা হল বন্ধ, তখন মানুষ বাধ্য হয়েই ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিনোদন ছাড়া জীবন তো একঘেয়ে। এখনও অধিকাংশ দেশে প্রেক্ষাগৃহ খোলার কোনো ভাব-লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। সঙ্গতকারণেই বিশ্বজুড়ে সিনেমা শিল্প সংশ্লিষ্টরা প্রচ- উদ্বিগ্ন। দুই বছর আগে কান চলচ্চিত্র উৎসবে নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজনের অরিজিনাল মুভি প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। এর তুমুল সমালোচনা ও বিরোধিতা করেছিলেন ফরাসি চিত্রনির্মাতা, পরিবেশক ও প্রদর্শকরা। তারা বিধান দেন, কান উৎসবে প্রদর্শিত সিনেমা অবশ্যই আগে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে হবে। অনেক সংগ্রাম করে তারা জিতে যান। হেরে যায় কান। কিন্তু এখন করোনাকালে চোখের সামনে ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো রীতিমতো রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে। আর দ্বাররুদ্ধ হয়ে আছে প্রেক্ষাগৃহ।