ভিড় বাড়লেও বিক্রিতে ভাটা

টেরিবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক »

ঈদের মানেই আনন্দ। এই আনন্দের অনেকটাই জুড়ে থাকে নতুন পোশাক। নতুন পোশাক পরে ঈদ করার সাধ প্রায় ছোট-বড় সবারই থাকে। কিন্তু এবারের ঈদে কেনাকাটায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। এবারের বেচাকেনা নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না বিক্রেতারা।

নগরীর আন্দরকিল্লার টেরীবাজারের খুচরা ও পাইকারি জামাকাপড়ের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দিনের তুলনায় ভিড় বেড়েছে কিছুটা। তবে কেনাকাটা গত বছরের তুলনায় কম। সপ্তাহের ছুটির দিনগুলোতে চাপ থাকলেও আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

নাহিদুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘আসলে প্রত্যেকবার পাঞ্জাবির কাপড় কিনতে আসলে ভিড় থাকে। এবার তেমন ঠাসাঠাসি নেই। তাছাড়া রমজানের কিছুদিন পর থেকেই টেইলার্সগুলো কাপড় সেলাইয়ের অর্ডার নিতে চায় না। এবার এখনও অনেক টেইলার্স কাপড়ের অর্ডার নিচ্ছে। কিন্তু গত বছর এমন সময় ভিড়ের জন্য কেনাকাটা কঠিন হয়ে যেতো।’

মেগামার্টের এক্সিকিউটিভ অফিসার শফিউল আজম বলেন, ‘এখন সবাই মোটামুটি বেতন পেয়েছেন। এজন্য কাস্টমাররাও আসছেন। যেহেতু আমরা থান কাপড়ের ভিত্তিতে বিক্রি করি সেহেতু যা কেনাকাটা তা ঈদের আগেই হয়। তবে গতবারের তুলনায় এবার ক্রেতার সংখ্যা কম। আমাদের মূলত মেয়েদের নায়রা কাটিং গাউন, থ্রি পিস এরকম রেডিমেইড আইটেমগুলো এখন চলছে। ইন্ডিয়ান এবং দেশীয় কাপড়গুলোর চাহিদা আছে। তবে যেহেতু গরম কাল সবার সুতি কাপড়েই চাহিদা বেশি দেখতে পাচ্ছি।’

পরশমণির প্রোপাইটর মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘এবারের বাজারের কেনাকাটা খুবই কম। এরকম তো হওয়ার কথা না। করোনার সময়ও দুই বছর বেচাকেনা হয়নি। তারপর গত বছর একটু বেচাকেনা হলো। এবার আবার খুবই কম বিক্রি।’

আর-এক্স স্যুজ অ্যান্ড কিড্স মলের প্রোপ্রাইটর মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ‘গতদিনের তুলনায় চাপ বাড়েনি। প্রায় আগের মতোই। ঈদের কেনাকাটায় জামাকাপড়ের সাথে জুতো লাগেই। কিন্তু সে হিসেবে আজ ১৭ রমজান (৯ এপ্রিল) পেরিয়ে গেলেও সেভাবে সাড়া পাচ্ছিনা। ’