বয়স্ক ও অসুস্থ বন্যপ্রাণীর চিকিৎসা শুরু

ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক

নিজস্ব প্রতিনিধি, চকরিয়া »
চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে বয়স্ক ও অসুস্থ বন্যপ্রাণীর সুচিকিৎসা নিশ্চিতে এবার পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। গতকাল বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক ও বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা এবং প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী।
সম্প্রতি রোগাক্রান্ত একটি সিংহরাজের মৃত্যুর পর বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ চট্টগ্রামের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রফিকুল ইসলাম চৌধুরী উদ্যোগ নিয়েই এ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করেন। গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সস বিশ্ববিদ্যালয় মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ড. বিবেক চন্দ্র সূত্রধরকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
একইসঙ্গে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও সায়েন্সস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ভজন চন্দ্র দাস, ঢাকা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (অব.) ডা. মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন ও চকরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুপন নন্দীকে সদস্য ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের বন্যপ্রাণী চিকিৎসক হাতেম সাজ্জাদ মো. জুলকার নাইনকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বিভাগীয় বনকর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে বয়সের ভারে নানা রোগে আক্রান্ত বন্যপ্রাণীর সুচিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
ইতোমধ্যে বয়সের ভারে রোগাক্রান্ত ‘রংমহল’ নামের মাদি হাতির চিকিৎসা শুরু করেছেন মেডিক্যাল বোর্ড। সোমবার মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা হাতিটিকে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসার কার্যক্রম শুরু করে। একই সঙ্গে মৃত্যুপথ যাত্রী লামচিতা ও আসামি বানরের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে। চিকিৎসার আওতায় নেওয়া হয়েছে পার্কের ওয়াইন্ডবিস্ট ও গয়ালকে। পার্কের বন্যপ্রাণী হাসপাতালের সামনে ও কোয়ারেন্টিন শেডে এই চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে।
মেডিক্যাল বোর্ডের আহ্বায়ক চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সস বিশ্ববিদ্যালয় মেডিসিন ও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ড. বিবেক চন্দ্র সূত্রধর বলেন, আপাতত বয়স্ক মাদি হাতি রংমহলের চিকিৎসা শুরু করেছি। আগামী এক মাস পর্যন্ত এই হাতির সার্বিক চিকিৎসা চলবে। এরপর অন্য প্রাণীগুলোর চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে।